আরও ৬৯৬ টন পেঁয়াজ এসেছে

14

সমুদ্রপথে একদিনে আমদানি করা ৬৯৬ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বিএসএম গ্রুপ নামে একটি শিল্প গ্রুপ একাই এনেছে ৫৮০ টন। অন্য একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ এনেছে ১১৬ টন। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসব পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে।
এর আগে বিএসএম গ্রুপ চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কাছে চীন থেকে ৮০০ টন পেঁয়াজ আনার জন্য আমদানি অনুমতির আবেদন করেছিল।
চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মঙ্গলবার পেঁয়াজ এসেছে মোট ৬৯৬ টন। এর মধ্যে বিএসএম গ্রুপ চীন থেকে এনেছে ৫৮০ টন। আর অন্য একটি
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ এনেছে ১১৬ টন। এসব পেঁয়াজ মঙ্গলবারের মধ্যে খালাস হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, আমরা কখনো পেঁয়াজ আমদানি করিনি। সরকারের অনুরোধে বাজারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রথমবার পেঁয়াজ আমদানি করেছি। ব্যবসায়ীরা যদি আমদানিতে উৎসাহী হয়, তাহলে বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে।
এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানির জন্য উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে অনুমতিপত্র (আইপি) খোলা হয়েছে ৯৩ হাজার ৬২৫ টন পেঁয়াজের জন্য। সর্বোচ্চ ৬১ হাজার ৩২৪ টন পেঁয়াজ মিশর থেকে আনার জন্য আইপি খোলা হয়েছে। এরপর চীন থেকে ১১ হাজার ৬৫৩ টন, পাকিস্তান থেকে পাঁচ হাজার ৬০০ টন, তুরস্ক থেকে ১১ হাজার ৮৬৮ টন। এছাড়া বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা ও উজবেকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আনার জন্য আমদাকিারকরা আইপি করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, মঙ্গলবার পেঁয়াজের দাম আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজির দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা পর্যন্ত। সরবরাহ বাড়লে সামনে আরও দাম কমতে পারে।