আমিরাতে সুনাম বাড়াচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা

438

আরব আমিরাতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এসব উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর তত্ত¡াবধানে এখন কাজ করছেন পাঁচ লক্ষাধিক বাংলাদেশি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া ও সুদানসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা কাজ করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে। করোনাকালীন সময়েও ব্যবসায়ীদের সাহসিকতা ও মনোবল অটুট থাকায় এবং আমিরাত সরকার দেশটিতে সাময়িক অর্থনৈতিক মন্দা দ্রæত কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি বা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাফল্যের স্বাক্ষর রাখা বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।
এদেশটিতে গ্যারেজ, সুপার মার্কেট, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, ট্রেডিং, পারফিউমস ফ্যাক্টরি, স্টিল ওয়ার্কশপ, রিয়েল এস্টেট, এমব্রয়ডারি, বোরকার দোকান, প্রিন্টিং প্রেস ও হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ ছোট-বড় নানা রকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এসব উদ্যোক্তা। প্রতিকুল অবস্থা আর বৈরী পরিবেশ কাটিয়ে অদম্য ইচ্ছা, মেধা, সততা, সাহসিকতা, মনোবল আর অক্লান্ত পরিশ্রম এনে দিয়েছে তাদের সফলতা। এতে প্রবাসে বাংলাদেশিদের কর্মদক্ষতা, সততা ও সুনামও রয়েছে ব্যাপক। তাদের এ সাফল্যে বাংলাদেশের লাখ লাখ শ্রমিকের আমিরাতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে যথাযথ অবদান রাখার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বিনিয়োগও করছেন এসব উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।
দুবাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, আমিরাতে টোকিও সেট গ্রæপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান ও আমিরাত সরকারের গোল্ডেনকার্ড ভিসাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিল্পপতি ড. মোহাম্মদ মাহাবুব আলম মানিক সিআইপি পূর্বদেশকে জানান, আমিরাত পৃথিবীর মধ্যে এমন একটি দেশ যেখানে তাদের পক্ষে যে কোন সমস্যা দ্রæত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া আমিরাত প্রবাসীবান্ধব সরকার। তারা প্রবাসীদের ভিন্নভাবে দেখেন না। বরং প্রবাসীদেরকে তাদের দেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে নিজেদের মতো করেই দেখেন। তবে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এখনো ঘুরে উঠতে পারেননি বা সাময়িকভাবে অর্থনৈতিক সমস্যায় আছেন তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীবান্ধব সরকার। তাই আমিরাতে বাংলাদেশস্থ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে বা সুদবিহীন ঋত দিয়ে কিছুটা হলেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে একদিকে বাংলাদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের শিল্পকারখানার আরো প্রসার ঘটবে, অন্যদিকে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদেরও উৎসাহ যোগাবে। তাতে কর্মসংস্থানও হবে হাজার হাজার বাংলাদেশির। এতে উদ্যোমী তরুণ উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপকভাবে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করতে পারবেন বলেও মনে করেন মাহাবুব আলম মানিক।