আমার প্রিয় চট্টগ্রামের মেজবানির মাংস আর কালো ভুনা : সাকিব

46

ঘড়ির কাঁটা তখন বিকেল ৫টার ঘরে। ধীর পায়ে পাঞ্জাবি গায়ে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করলেন ক্রিকেটের রাজপুত্র। চোখের সামনে স্বপ্নের নায়ককে দেখে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন গ্যালারি ভর্তি দর্শক। হাজার কন্ঠে ‘সাকিব, সাকিব’ শব্দে মুখরিত হলো পুরো স্টেডিয়াম পাড়া। অনেক আনুষ্ঠানিকতা। স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো ভক্ত তখনও অপেক্ষায় সাকিবের বক্তব্য শুনতে। মৃদুভাষী সাকিব আল হাসান সালাম দিয়ে বক্তব্য শুরু করলেন। ‘চট্টগ্রাম আমার খুব প্রিয় শহর। সেই ন্যাশনাল লিগ খেলতে আসতাম তখন থেকে খুব এনজয় করতাম চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রামের মেজবানি মাংস আর কালো ভুনা আমার খুবই প্রিয়। আমি চট্টগ্রামবাসীর প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে সম্মানিত করেছেন। এই চট্টগ্রামের মাটিতেই আমার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। তাই সময় সুযোগ পেলেই চট্টগ্রাম আসি। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘কোটি ক্রিকেট ভক্তের মতো খুদে ক্রিকেটারদের কাছেও সাকিব স্বপ্নপুরুষ। তাকে কাছে পেলে খুদে ক্রিকেটাররা অনুপ্রাণিত হবে। এ জন্য এ অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে চট্টগ্রামের খুদে ক্রিকেটারদের কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যাতে চট্টগ্রাম থেকে সাকিব, তামিম বা মাশরাফির মতো মানের ক্রিকেটার উঠে আসে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক বলেন, সাকিবের কারণেই সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ পরিচিত। সাকিব আমাদের কাছে শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনিই আমাদের বাংলাদেশ। তার মতো ব্যক্তিকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা সম্মানিত হলাম। তাকে কাছে পেয়ে এখানকার তরুণরাও অনুপ্রাণিত হবে।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সাকিব শুধু একটি নাম নয়, নিজ গুণে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। সাকিবের অসাধারণ পারফরমেন্স এর কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো খেলেছে। তার প্রতি সারাদেশের মানুষের সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীও কৃতজ্ঞ। মেয়র বলেন, কোটি ক্রিকেট ভক্তের মতো খুদে ক্রিকেটারদের কাছেও সাকিব স্বপ্নপুরুষ। তাকে কাছে পেলে খুদে ক্রিকেটাররা অনুপ্রাণিত হবে। এ জন্য এ অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে চট্টগ্রামের খুদে ক্রিকেটারদের কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যাতে চট্টগ্রাম থেকে সাকিব, তামিম বা মাশরাফির মতো মানের ক্রিকেটার উঠে আসে।
আরো সুন্দর হতে পারতো
আয়োজক কমিটির ঘোষণা মতে, চট্টগ্রামের ক্রিকেটারদের অনুপাণিত করতেই সাকিবকে সম্বর্ধনা। সে মতে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে বেশ উৎসাহ এবং আবেগের সাথে সেই দুপুর থেকেই স্টেডিয়ামে জড়ো হতে থাকে ক্ষুদে ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি। তারা মাঠে ঢুকতেই পারে নি।
সাকিবের সাথে ফটো সেশন করার আশা পূরণ হয়নি বিভিন্ন অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষণার্থীদের। তবে যাদের জন্য আয়োজন তারা মাঠে ঢুকতে না পারলেও গেটে ভাই বন্ধুরা ডিউটিতে থাকায় পার্টি আর গ্রুপের লোকজন অবলীলায় ঢুকে চেয়ার দখল আর সাংবাদিকদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠানের সৌন্দর্যহানি করেছেন। অবশ্য আয়োজকদের আত্মতৃপ্তি- দেশে একমাত্র আমরাই সাকিবকে সম্বর্ধনা দিয়েছি। তবে এর উদ্দেশ্য-লক্ষ্য কি ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটা অস্বাভাবিক নয়।