আমাদের অর্ধ-ডজন প্রত্যাশা

65

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র ক্ষুদ্র একটি ভূখন্ড নিয়ে পৃথিবীর এক কোণে সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ভূমির তুলনায় জনসংখ্যা বেশি বলে ঠাঁসাঠাঁসিভাবে দুঃখে-কষ্টে বসবাস করলেও আমাদের সকলের স্বপ্ন-একটি সুখি-সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বছর চলে যায়, সরকার পরিবর্তন হয়; তবুও আমাদের তথা আপামর জনগণের অনেক স্বপ্ন মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন হয় না। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিকরা কথা দিয়েও কথা রাখেন না। তাই আমাদের প্রত্যাশার অনেক কিছুই অসমাপ্ত রয়ে যায়। তার ওপর আরও শতশত প্রত্যাশা এসে জমাট বাঁধতে থাকে। জনগণের সব প্রত্যাশা পূরণ হয় না বলে কেউ হতাশ নয় এই ভেবে যে একদিন না একদিন তা পূরণ হবে। তাই বাংলাদেশি তথা বাঙালিরা স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে না। এ দিক থেকে বাঙালিদেরকে ধৈর্যশীল জাতি বলা যেতে পারে।
আমাদের আছে অফুরন্ত স্বপ্ন, অফুরন্ত আশা-প্রত্যাশা। সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখতে পেতাম বাংলাদেশের ধরণ পাল্টে গেছে, তাহলে নিজেদেরকে ধন্য মনে করতাম! কিন্তু বাস্তবতা আর স্বপ্ন কভু এক নয়। তবে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের লক্ষ্যে আমাদেরকে একটি প্রগতিশীল পন্থায় এগিয়ে যেতে হবে। অতীতের পানে ফিরে তাঁকালে আমরা উপলব্ধি করতে পারি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সময় আজকের এই অবস্থানে ছিল না। ধীরে ধীরে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সরকারের পাশাপাশি শ্রমজীবী, অভিবাসী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ওতপ্রোত অংশীদারিত্ব রয়েছে। সকলের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যদি একটি ক্ষুধার্ত, দরিদ্র রাষ্ট্রকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়, তাহলে আমরা কেন ডিজিটাল যুগে এসে ঠাঁয় বসে থাকব?
হুম, বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারাকে বেগবান করতে আমরা কেউই অলসভাবে বসে থাকতে চাই না। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমাদের সবুজ-শ্যামল প্রাণের বাংলাদেশকে। আমার প্রাণের বাংলাদেশকে নিয়ে আমার অর্ধ-ডজন প্রত্যাশা রয়েছে যা ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যক্ত করা হল।
১. শিক্ষাক্ষেত্রে সু-পরিবর্তন চাই : আমাদের দেশে বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু থাকলেও প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা মানুষের মানবিক বোধের কোনো পরিবর্তন করতে পারছে না। শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম, অস্বচ্ছ রাজনীতির অনুপ্রবেশ, প্রতিযোগিতামূলক নানা পরীক্ষা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত অপ্রীতিকর ঘটনা শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন বিকাশের অন্তরায় বলে দেশপ্রেমিক ও দেশের জন্য নিবেদিত হিসাবে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না এখন। এসব শিক্ষাবিরোধী কার্যক্রম যেন সকলকে স্বার্থান্বেষী করে তুলেছে। শিক্ষকদের বৈরি আচরণে শিক্ষার্থীরা আজ নিষ্পেষিত এবং তাদের অসামাজিক আচরণে অনেকাংশে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছে। আমি মনে করি, শিক্ষাক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, শিক্ষাক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকদের শিক্ষকসূলভ আচরণ করতে হবে এবং তারা যেন যথার্থ নীতি-নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের শিক্ষা প্রদান করে সে ব্যাপারে বিধি-বিধান আরোপ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ভেঙেপড়া বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সেই লক্ষ্যে, পি.ই.সি ও জে.এস.সি’র মত অহেতুক ও মেধায় চাপ সৃষ্টিকারী পরীক্ষাগুলো পরিহারপূর্বক শিক্ষকদের আদর্শ মানসে গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সু-শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষার জোরদার করতে হবে। অর্থাৎ বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে যে অনিয়মগুলো বিদ্যমান, আমাদের চোখে কাটার মত ধরা পড়ছে, সেসবের যথাযথ পরিবর্তন, পরিমার্জন ও সংশোধন দরকার। শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্ররসতা মানে দেশ সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল হওয়ার পথ সুগম হওয়া। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে সু-পরিবর্তন প্রত্যাশা কোনো অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
২. প্রকৃতি ও পরিবেশগত উন্নয়ন হোক : প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে যে কোনো দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অতোপ্রোতভাবে জড়িত বলে আমি মনে করি। আজকাল প্রকৃতি ও পরিবেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেঁলে দিয়ে বিরাট বিরাট মিল-কারখানা, ইটভাঁটা ও অন্যান্য পরিবেশবিরোধী শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে আর বলা হচ্ছে- শিল্পখাতে বাংলাদেশ এক অনন্য পর্যায়ে! পরিবেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেঁলে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন কখনই কাক্ষিত উন্নয়ন হতে পারে না। পরিবেশকে বিষিয়ে তুলে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন করলে ভবিষ্যতে আমাদের পরিণতি কেমন হতে পারে তা এখনই ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করছি। এমনিতেই বাংলাদেশ বৈশি^ক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু ঝুঁকিতে মারাত্মক অবস্থানে রয়েছে যা শুধুমাত্র পরিবেশকে বসবাসের অনুপযোগী করায় সীমাবদ্ধ নয়, আমাদের কৃষিজ ব্যবস্থার জন্যও হুমকিস্বরূপ। অদূর ভবিষতে আমাদের কি হবে তা ভেবে দেখতে হবে বৈকি এর আশু সমাধানে দ্রুত কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে, পরিবেশ ও প্রকৃতির সুষম ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদেরকে পরিবেশবাদী কার্যক্রমের দিকে নজর দিতে হবে। কেন কৃষিজমি নষ্ট করে, কেন গাছপালা বিনষ্ট করে, কেন নদী-নালা ভরাট করে মিল-কারখানা, বসতবাড়ি তৈরি করব, সে বিষয়ে বোধোদয় ঘটাতে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। আমাদেরকে ভাবতে হবে, উন্নয়ন করতে গিয়ে কেন আমরা আমাদের অস্তিত্বকে বিপদাপন্ন করব?
৩. পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন জরুরি : বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। তবে গ্রাম অঞ্চলে উন্নয়নসীমা খুবই ধীরগতিসম্পন্ন। উন্নয়নকামীদের নজর এখন শহরের দিকে। কিন্তু শুধু শহর উন্নত মানেই কি দেশ উন্নত ? দেশ তখনই উন্নত হবে যখন শহর ও গ্রাম সমান তালে উন্নত হবে। অথচ আমাদের দেশে তাই কি হচ্ছে? এখনও বাংলাদেশে পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা কিনা এখনও শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, যাতায়াতসহ নানাবিধ প্রয়োজনীয় সুবিধা হতে বঞ্চিত। এখনও অনেক জনপদ নদীভাঙন, পাহাড়ধস, বন্যা-খড়ার আগ্রাসনের শিকার। তাদেরকে পুর্নবাসনে গাফিলতি সীমাহীন বলেই আমার এ ভাবোদয়। দেশের নাগরিক হিসাবে তারা কি নাগরিক সুবিধাদী ভোগের অধিকার রাখে না ? তাই যদি হয় তাহলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠির দিকে সু-নজর প্রয়োগ করতে হবে। কৃষি স¤প্রাসারণ, স্বাস্থ্যগত সেবাপ্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে শহরের সাথে সংযোজন, শিক্ষা-দিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে গ্রামকে শহরের আদলে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।
৪. প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা সাধন দরকার : আমরা এখন ডিজিটাল দেশের নাগরিক বলেই সমধিক পরিচিত। তবে আমরা কোথায় কোথায় ডিজিটাল হয়েছি তা খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু ফেসবুক আর ইন্টারনেটের ছড়াছড়িকেই ডিজিটালাইজেশন বলা যেতে পারে না। ডিজিটাল সেবা প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা সাধন করতে হবে। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সক্ষমতা গড়ে তোলার পাশাপাশি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহারের দিকে সবাইকে আহব্বান করতে হবে। অতীতের ভাবধারকে পরিত্যাগের মাধ্যমে সুশীল চিন্তা-ধারার প্রসার ঘটাতে প্রযুক্তির নানাবিধ সদ্য ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রযুক্তির অপব্যবহার ঘটার সুযোগ না দিয়ে প্রযুক্তিতগত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদেরকে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে। একজন লোক যাতে ফেসবুকের মাধ্যমেও কর্মসংস্থান করতে পারে সেই সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করতে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণকর্মী নিয়োগ করতে হবে। সর্বোপরি, প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহারের দিকে আপামর জনগণকে ধাবিত করাতে পারলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আয়ের পথ বেছে নিতে সক্ষম হবে। এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের সার্টিফিকেট অর্জন করে প্রকৃত ডিজিটালাইজেশনের দিকে যাত্রা করবে।
৫. যুব উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা : পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশের এক-পশ্চমাংশই যুবক বা তরুণ প্রজন্ম। বর্তমানে এদের প্রত্যেকেই হতাশগ্রস্ত। যোগ্যতা থেকেও কারও কারও কাক্ষিত চাকরি জুটছে না। কেউ কেউ তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারছে না। দেখা যাচ্ছে যে দেশের কিছু অসমনীতি, অস্বচ্ছ রাজনীতি তরুণদের পথযাত্রাকে সর্বত্র বাধাগ্রস্ত করছে। তরুণরা না পারছে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে, না পারছে রাষ্ট্রের জন্য হিতকর কিছু করতে। আর তারা কিভাবে পারবে ? বেকারত্বের অদৃশ্য জালে তারা আটকা পড়ে আছে! এমতাবস্থায় রাষ্ট্র যখন শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের বুকে লাথি মারছে, তখন তাদের আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ আছে কি ? আমি মনে করি, সরকারি নানাবিধ প্রচেষ্টাই পারে যোগ্যতাসম্পূর্ণ তরুণদেরকে কর্মমুখী করতে, তাদেরকে বেকারত্বের হাত থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি দিতে। আমাদের দেশের তরুণদের চাকরির বাজারকে আরও সহজীকরণ করতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশেই এমনটা নাই যে সদ্য পাসকৃত শিক্ষার্থীর চাকরিতে প্রবেশে তিন চার বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। অথচ বাংলাদেশে এই ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকায় অনেক সম্ভাবনাময় তরুণরা চাকরি যোগাড় করতে পারছে না। বিপরীতে অনুকূল রাজনৈতিক ক্ষমতা, তদবির আর অঢেল টাকার জোড়ে অনেকেই উচ্চপদে সমাসীন হচ্ছে। তাই তরুণদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে যুব উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি দৃশ্যমান সকল বৈষম্য পরিহার করা আবশ্যক। তবেই না বাংলাদেশ সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল হবে।
৬. বিদেশগমন সহজীকরণ : আমাদের দেশের বর্তমান আয়ের একটা প্রধানতম অংশ অভিবাসীদের আয় থেকে উপার্জিত হয়ে থাকে। তাদের আয়ে আমাদের দেশ ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হচ্ছে তা স্বীকার্য। একজনের দেখাদেখি অনেকেই বিদেশের মাটিতে পাড়ি দিয়ে আয়-রোজগার করতে চাচ্ছে, করছে। কিন্তু কোনো এক অপশক্তি তাদের পথকে যেন রুদ্ধ করে তুলেছে। বিদেশগামীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হয়ে যেমন সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে, তেমনি দেশ বৈদেশিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেন বঞ্চিত হচ্ছে? কারা তাদের শুভ যাত্রার অন্তরায় ? তাদেরকে প্রতিহত করতে সরকারকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। আয়ের উদ্দেশ্যে বিদেশগমনেচ্ছুকদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংয়ে সহজীকরণসহ বিদেশে তাদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ, বেতন-ভ্রাতা নির্ধারণ ও বিদেশে নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারকে বৈদেশিক সমঝোতার মাধ্যমে দূতাবাসসমূহকে কার্যকর করতে হবে। বিদেশের মাটিতে ঘটিত অপকর্ম আগ্রহী জনশক্তি রপ্তানিকারকদেরকে দমিয়ে দিতে পারে। সে লক্ষ্যে প্রবাসীদের দিকে যথাযথ নজরদারী আরোপ করতে হবে যাতে তারা কোনো অপকর্মে জড়াতে না পারে। এছাড়া তাদের পাঠানো টাকা যেন নিরাপদে স্বজনদের কাছে পৌঁছে যায়, তার ব্যাপারেও সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আজকাল অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিবাসীদের শরীরের ঘামে ভেজানো টাকা বাংলাদেশে সঠিকভাবে পৌঁছালে বাংলাদেশ নিশ্চিতরূপে উন্নয়নশীল পর্যায়ে চলে যাবে বলে আমার প্রত্যাশা।
পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল পথে নিয়ে যেতে আমার, আমাদের প্রত্যাশার কোনো শেষ নেই। তবে যেগুলো আমার দৃষ্টিতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, তা আমি অকপটে লিখে ফেলেছি। উল্লেখিত প্রত্যাশাগুলো যুক্তিযুক্ত বলেই সরকারসহ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে বলে আমি মনে করি এবং এগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন কাম্য।
লেখক : প্রাবন্ধিক