আমরা পদ-কমিটিতে ব্যস্ত বলে সরকার এখনও আছে

13

বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভূমিকায় নিস্প্রভ বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের দলের লোকজন শুধু পদ-পদবী, কমিটি আর কথায় ব্যস্ত থাকার কারণে সরকারের কিছু করা যাচ্ছে না। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি আত্মসমালোচনাও করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি। স্বাস্থ্যখাতের ভঙ্গুর-দুর্দশা অবস্থা। এই স্বাস্থ্যখাত ইটসেলফ আক্রান্ত,করোনায় আক্রান্ত। করোনায় আক্রান্ত মানে ভেন্টিলেশনে আছে। সরকারও কিন্তু এ রকম ভেন্টিলেশনেই আছে’।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা যদি ভেন্টিলেশনে হয় তাহলে বাংলাদেশে ডাক্তারদের দুর্দিন আসতেছে। জনগণের মধ্যে একটা অনাস্থা আসছে। খালি ভিসা প্রক্রিয়াটা (ভারত) শুরু হতে দেন এবং ঢাকা-কলকাতা গাড়িটা চালু হতে দেন। প্রতিদিন ২০ হাজার লোক চইলা যাইব কলকাতা চিকিৎসা করতে। বাংলাদেশের এই হাসপাতালগুলো পইড়া থাকব, বাংলাদেশের ডাক্তারদের চেম্বার খালি থাকব-আপনি লিখে নেন আমার থেকে’।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই’ বলে মনে করলেও গয়েশ্বর হতাশ দলের সহকর্মীদের নিয়ে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, ‘আমরা শুধুও পদে ব্যস্ত, কমিটিতে ব্যস্ত আর আমরা কথায় ব্যস্ত। আমরা পথে নামতে ব্যস্ত হই না বলেই কিন্তু সরকার আছে এখনও। কোমায় (ভেন্টিলেশন) থাকলেও সরকার আছে। এই কোমাটা (ভেন্টিলেশন) খোলার দায়িত্ব যদি আপনারা নিতে পারেন তাহলে সরকার নাই’।
কর্মীদের পদ-পদবীর দিকে তাকিয়ে না থেকে আন্দোলনের জন্য সবাইকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে ‘মৎস্য খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতে করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী।
সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আামিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। খবর বিডিনিউজের