আমরা চাই স্মার্ট কাস্টম হাউস

45

আমরা স্মার্ট কাস্টম হাউস চাই। আমাদেরকে চীন, কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। তাই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করতে হবে। তবে চুরিচামারি আর চোরাচালান করে দেশকে ফাঁকি দিয়ে নয়। আমদানিকারকের ক্ষতি করা মানে দেশের ক্ষতি। গতকাল শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকেই আছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা। কিন্তু সবাই অসৎ নয়। আমি পজেটিভলি দেখতে চাই। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেশকে বদলে দেবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জি-২০তে ডাক পেতে হলে দেশের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করতে হবে।
এম এ লতিফ বলেন, সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন করছেন। মানুষ হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেই উন্নয়নের কথা সবাই জানেন। আমার মতো লতিফ রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, আপনার চেয়ে অনেক মেধাবী তরুণ পথে পথে ঘুরছে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই সততা আর দেশপ্রেম। চীন দেশপ্রেমের কারণে এগিয়ে গেছে।
বিশেষ অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) প্রকাশ দেওয়ান বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম দেশের রাজস্ব আদায়ের বড় কেন্দ্র। কাস্টম শুধু রাজস্ব আদায় করে না একই সাথে নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখে।
তিনি বলেন, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড না থাকলে তৈরি পোশাক রফতানি কঠিন হতো। কারণ হলো কমপ্লায়েন্স। চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহন যেমন বাড়ছে তেমনি কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি বাড়ছে। তাই সতর্ক করতে চাই, কাস্টমের কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় এনবিআর নেবে না।
চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মোতাহের হোসেন বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলে বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে। ২০৩০ সালে সাসটেইনেবেল গোলের জন্য কাজ করছে সরকার। এর জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ রেভিনিউ মোবিলাইজেশন। ২০৩২ সালে ২৫তম অর্থনৈতিক দেশে রূপান্তর হবে বাংলাদেশ। এর জন্য এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। জি-২০তে বাংলাদেশ ডাক পায় মতো কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাস্টম হাউসে অটোমেশন করে। এখন ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর সময় এসেছে। বন্দরের প্রতিটি গেটে স্কেনার বসাতে হবে। ডকুমেন্টাশন আরও দ্রæত করতে হবে। ব্যবসায়ী চায় না বন্দরে ডেমারেজ দিতে। বন্দরকে গুদাম বানাতে চায় যারা তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। কাস্টম হাউসে জনবল বাড়াতে হবে। আধুনিক ভবন নির্মাণ করতে হবে। পরিবেশ আরো উন্নত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বন্দর এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরে যত সহজে আমদানি পণ্য ডেলিভারি হবে শিল্পকারখানার কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস তত কমবে। বন্দরের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। মাঝেমধ্যে মেশিনপত্র নষ্ট হলে দুর্ভোগ হয়। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। শুল্কায়নে হয়রানি পরিহার করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু সহ সংশ্লিষ্টরা।