আমদানি বেশি সংকট হবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

15

করোনাভাইরাসের কারণে নিত্যপণ্য নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি বেশি হয়েছে, তাই পণ্যের কোনো সংকট হবে না। তাই আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার আহব্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় জনগণ আতঙ্কিত হয়ে গেছেন। তারা হঠাৎ করে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পণ্য ক্রয় করছে। তাই গত দুই দিনে খুচরা বাজারে দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। গত দুই দিন এ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে’।
পাইকারি বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো পণ্যের মজুদ-সরবরাহ কম নেই। অতিরিক্ত পণ্য কিনে অহেতুক বাজারে অস্থিরতা তৈরি করবেন না। প্রত্যেকটি পণ্যের যথেষ্ট মজুদ আছে। জনগণ মনে করতে পারে সমস্যা হবে, কিন্তু আসলে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে নিত্যপণ্য আমদানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং অন্যান্য বছরের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি বেশি হয়েছে। কাজেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই’।
মুশুর ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, লবণ ইত্যাদির বাজার দর বিগত এক মাসে কমেছে বা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত এক মাসে মশুর ডালের বাজার দর ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, পেঁয়াজের বাজার দর ৪৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং রসুনের বাজার দর ৫২ দশমিক ৭৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া লবণের বাজার দর অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্যের সরবরাহ অবাধ ও স্বাভাবিক রাখতে সরকার যথাযথভাবে কাজ করছে। তাই চাহিদার তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করার প্রয়োজন নেই’।
খুচরা বাজারে যারা দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারে যারা দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিষয়ে ভোক্তা অধিকার থেকে সাতটি টিম কাজ করছে এবং মাইকিং করা হচ্ছে। তবে মানুষকে বোঝাবে কে?’
পণ্য যে আছে সেই আস্থার জায়গায় ক্রেতাদের কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লাখ লাখ রিটেইলারদের কন্ট্রোল করা কঠিন ব্যাপার। মূল জায়গায় মানুষকে আশ্বস্ত করা যে, কেনার দরকার নেই। মানুষকে সচেতন করা হবে এটাই জরুরি। কোনো কারণ নেই এতো স্টক করে নেওয়ার। আমাদের মতো করে আমরা চেষ্টা করব, কিভাবে ফেইস করা যায় বিষয়টা’।
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে সাপ্লাই চেইন কিভাবে নিশ্চিত করা হবে প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যৎ কতটা খারাপ হবে এটা তো আমরা জানি না। কখনো কখনো এমন ঘটনা হয় তা মানুষের ইসের বাইরে, করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি সরকার সব চেষ্টা করছে, বাড়লে সেই সময়ের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তেল ডাল চিনির দামে করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব নেই’। এবার রোজায় অন্যান্য বছরের তুলনায় ৭ থেকে ১০ গুণ পণ্য নিয়ে টিসিবি মাঠে থাকবে বলে জানান টিপু মুনশি। খবর বিডিনিউজের