আবৃত্তি দিতে পারে মানসিক প্রশান্তি

52

চলমান এই দুঃসময়ে যখন ঘরবন্দী মানুষের দম অনেকটা বন্ধ হয়ে আসছে, তখনই দেশের বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইনে আয়োজন করে যাচ্ছে আবৃত্তি ও কথামালার অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানগুলো মানুষের দুশ্চিন্তাকে কিছুটা হলেও দূরে ঠেলে দিচ্ছে। করোনার এই দুঃসহকালে এ ধরনের আবৃত্তি দিতে পারে এবং দিয়ে যাচ্ছে দর্শক-শ্রোতার মনে মানসিক প্রশান্তি। দেশের অন্যতম আবৃত্তি ও মনন চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের অনলাইন আয়োজন ‘অন্তঃপুর নিকট-দূর’ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেছেন উচ্চারক সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহের। একইসঙ্গে কথামালায় অংশ নেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরাও। অনুষ্ঠানটি গত শুক্রবার ১৯ জুন বিকাল ৫টায় উচ্চারকের ফেইসবুক পেইজে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
উচ্চারকের সহ-সভাপতি এ এস এম এরফানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র হে আমার বিষণ্ণ সুন্দর কবিতাটি দিয়ে আবৃত্তি শুরু করেন উচ্চারকের আবৃত্তিশিল্পী রাকিব রায়হান। এরপর তিনি আবৃত্তি করেন কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা বৈরি হাওয়া। তার পর আবৃত্তি পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সেঁজুতি দে। তিনি শুরু করে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা শুধু কবিতার জন্যে। এরপর তিনি আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছড়া হাস্যরসের কবিতা মাকাল, সলিল চৌধুরীর কবিতা শৃঙ্খলা-বিশৃঙ্খলা, শঙ্খ ঘোষের কবিতা আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি। এরপর আবৃত্তি করেন উচ্চারকের আবৃত্তিশিল্পী অর্মিকা বিশ্বাস। তিনি শুরুতে আবৃত্তি করেন পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা সোনার ম্যাডেল, শুভদাশ গুপ্তের ছুটি এবং আমজাদ হোসেনের কবিতা পিওর। সবশেষে আবৃত্তি করেন উচ্চারকের আবৃত্তিশিল্পী দিপা দাশ মিতু। তিনি আবৃত্তি করেন কবি আবুল হাসানের কবিতা বৃষ্টি চিহ্নিত ভালবাসা, শরত কুমার মুখোপাধ্যায়ের কবিতা বঙ্গভূম কবিতাটি।
‘অন্তঃপুর নিকট-দূর’ শীর্ষক এই আবৃত্তি অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বৈশ্বিক এই মহামারির আবদ্ধ পরিবেশে মানুষের মানসিক প্রশান্তি যখন তিরোহিত, দুঃচিন্তায় যখন নিমগ্ন সমগ্র দেশের মানুষ, তখন উচ্চারক তাদের আবৃত্তিকর্মী ও শিল্পীদের নিয়ে চলমান সময়কে তুলে আনে এই অনুষ্ঠানে। বিজ্ঞপ্তি