আবারও পরিচালক হলেন মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম

383

বার্ষিক সাধারণ সভায় মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় দ্বিতীয়বারের মতো শেয়ার হোল্ডারদের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৪ নভেম্বর এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। নব্বইয়ের দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার-ইনসারজেন্সি অপারেশনে তার ভূমিকার জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন। ডাইরেক্টরেট অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সে নিয়োজিত থেকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি আলোচনা এবং বাস্তবায়নে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রেষণে পদায়িত হয়ে মিয়ানমারে হেড অব মিশন হিসেবে কাজ করেন। এই সূত্রে মিয়ানমার বিশেষ করে রোহিঙ্গা বিষয়ে তার অর্জিত অভিজ্ঞতা তাকে একজন বিশেষজ্ঞের আসনে অধিষ্ঠিত করে।
২০০১ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে ‘নাফ সংকট’ নিয়ে সামরিক উত্তেজনা এবং সংকট নিরসনে তার ভূমিকা সামরিক এবং কূটনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ‘পিস কিপার’ হিসেবে কঙ্গোর ইথুরি অঞ্চলে লেন্দু ইনসার্জেন্ট কর্তৃক জিম্মি নেপালী সৈন্যদের উদ্ধার অভিযানে ব্যতিক্রমী, বীরোচিত এবং অসীম সাহসিকতা প্রদর্শন এবং তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিপুল সংখ্যক লেন্দু ইনসার্জন্টদের আত্মসমর্পণের পথ সুগম করার জন্য তিনি জাতিসংঘ ফোর্স কমান্ডারের সর্বোচ্চ প্রশংসাপত্র লাভ করেন। তার অর্জিত অভিজ্ঞতা আফ্রিকান ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের অফিসারদের সাথে বিনিময় করতে জাতিসংঘ কর্তৃক মনোনীত হয়ে ফিনল্যান্ড সরকারের আনুকূল্যে তিনি সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল আর্মি ওয়ার কলেজ গমন করেন।
মেজর এমদাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিনেটের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তার শতাধিক প্রবন্ধ/নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার সম্পাদনায় ডিফেন্স সার্ভিসের কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের বাৎসরিক ম্যাগাজিন ‘টর্চ’ এর দু’টি সংখ্যা এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’র বাৎসরিক ম্যাগাজিন ‘চির উন্নত মমশির’ এর ২৫তম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও ভূ-কৌশলগত বিষয়ে বিভিন্ন টেলিভিশনে তিনি ৪০০-এর বেশী আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। একজন সৌখিন গলফার মেজর (অব.) এমদাদ। ভ্রমণ এবং বই পড়া তার নেশা। বিজ্ঞপ্তি