আফগানিস্তান : ২০১৮ সালেই হত ‘সবচেয়ে বেশি বেসামরিক নাগরিক’

35

আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে গত বছরই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলার পাশাপাশি বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিমাণ রক্তক্ষয় হয়েছে, বলছে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ)। রবিবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউএনএএমএ-র প্রতিবেদনে ২০১৮ সালে আফগানিস্তানে ৯২৭ শিশুসহ রেকর্ড ৩ হাজার ৮০৪ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে; এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
‘হত্যা বন্ধ এবং বেসামরিকদের রক্ষার একমাত্র উপায় যুদ্ধ বন্ধ করা। শান্তি আনতে আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা এখন আরও বেশি প্রয়োজন,’ বলেছেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদামিচি ইয়ামামোতো। নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে ১/১১ হামলার প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র তালেবানদের উৎখাত করতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার অগ্রগতির মাঝেও তাতে ছেদ পড়েনি।
মার্কিন বাহিনী ও আফগান তালেবান উভয়ই সাম্প্রতিক সময়ে তাদের আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে। একই কারণে বেড়েছে বিমান হামলা ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পরিমাণও। আফগান সরকারের সমর্থক বিভিন্ন বাহিনীর অভিযানে গত বছর এক হাজার ১৮৫ বেসামরিক নিহত ও এক হাজার ৪২৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএএমএ। বেসামরিকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সরকারবিরোধীদের ওপর বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে ৪৯২টি শিশুও আছে বলে জানিয়েছে তারা।
‘যে রেকর্ড পরিমাণ শিশু নিহত হয়েছে তা সত্যিই বেদনাদায়ক,’ বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট। ২০১৮ সালে তালেবানদের হামলায় নিহত বেসামরিকের সংখ্যা এক হাজার ৭৫১ বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে; ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯১৬। এর বাইরে দুই হাজার ১৮১ বেসামরিক হতাহতের জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানে তৎপরতা বেড়ে যাওয়া ইসলামিক স্টেটও (আইএস) দায়ী, বলছে জাতিসংঘের এ সহায়তা মিশন। বিডিনিউজ