আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেল গ্রেটা থানবার্গ

69

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেল বিশ্বজুড়ে সাড়াজাগানো তরুণ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ। পরিবেশ আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় বুধবার তাকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া ক্যামেরুনের শান্তিকর্মী দিভিনা মালুমকেও এই পুরস্কার দেয় ডাচ সংস্থা কিডসরাইট। মাত্র ১৬ বছর বয়সে গ্রেটা থানবার্গ বিশ্বে চলমান জলবায়ু আন্দোলনের নেতায় পরিণত হয়েছেন। ২০১৮ সালের আগস্টে প্রতি শুক্রবার সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনে একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, জলবায়ুর জন্য স্কুলে ধর্মঘট। এই কিশোর জলবায়ু আন্দোলনকর্মীর ডাকে ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়েছেন বিশ্বের কয়েক লাখ মানুষ।
থানবার্গ নিজে উপস্থিত থেকে শান্তি পুরস্কার নিতে পারেননি। কারণ জাতিসংঘের এক সম্মেলনে যোগ আটলান্টিক পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। এর আগে সুইডেন থেকে চিলির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন গ্রেটা। তবে নৌকা, ট্রেন আর ইলেকট্রিক গাড়িতে করে প্রায় অর্ধেক পথ পাড়ি দেওয়ার পর জানা যায় ভেন্যু মাদ্রিদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এতেই বিপাকে পড়েন গ্রেটা। কেননা, কার্বন নিঃসরণ করায় যথাসম্ভব বিমান বা জ্বালানি চালিত যান এড়িয়ে চলেন তরুণ এই জলবায়ু কর্মী। ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে মাদ্রিদ যাচ্ছেন তিনি। তবে তিনি এক বার্তায় জানিয়েছেন, এই পুরস্কারে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ও সম্মানিত বোধ করছেন তিনি। তারহয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন জার্মান জলবায়ু কর্মী লুইসা মারি নুবার। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সংকটইে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে দিভিনা মালুমকে পুরস্কার দেওয়া হয় বোকো হারামের বিরুদ্ধে তার শান্তিপূর্ণ লড়াইয়ের জন্য।
তিনি বলেন, ‘ক্যামরুন ও আফ্রিকায় নীতিনির্ধারকরা শিশুদের ভুলে গেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা ভুলে গেছেন। আমি সব শিশুদেরকে এই বিষয়ে আওয়াজ তোলার আহŸান জানাই। ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভারতীয় কৈলাশ সত্যার্থী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া জয়ীরা তাদের আন্দোলনের জন্য ১ লাখ ইউরোও পাবেন। এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজায়ী।