আনোয়ারায় আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন, চাষিরা খুশি

279

আনোয়ারায় আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় বাড়তি দাম পাচ্ছেন চাষীরা। এতে কৃষকেরা বেজায় খুশি। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শঙ্খের মোহনায় ধলঘাট থেকে বার আউলিয়া পর্যন্ত উপকূল জুড়ে ও পারকি সমুদ্র সৈকতের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ধলঘাট থেকে বার আউলিয়াসহ উপজেলার উপকূলের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তরমুজের বিশাল ক্ষেত। এখানে সারা বছর কোনো চাষাবাদ হয় না। ফলে এসব বিস্তৃত জমিতে কৃষকেরা আগাম তরমুজ চাষ করে থাকেন। স্বাভাবিকভাবে বাজারে তরমুজ পাওয়া যাবে আরো এক থেকে দেড় মাস পর। কিন্তু আনোয়ারা উপকূলে চাষকৃত তরমুজ ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ খুবই মিষ্টি হয়েছে, যার ফলে কৃষকেরা তরমুজ বিক্রি করে তাদের প্রত্যাশিত টাকা পাচ্ছেন।
উপজেলার ধলঘাট ও বার আউলিয়ার চর উপকূলের চাষি আব্দুল আলীম জানান, আমরা এবার তিন মাস আগে থেকেই ২২ কানি জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করেছি। পরে ক্ষেতে পরিচর্যার পাশাপাশি নিয়মিত সার, পানি, বিভিন্ন ভিটামিন প্রয়োগ করেছি। এছাড়াও আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমাদের এবার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। আমরা ইতোমধ্যে ১ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। মোট ১৫ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো বলে ধারণা করছি। কৃষক নেজাম উদ্দিন জানান, আমরা নিজস্ব উদ্যেগে এবার দুই কানি জমিতে তরমুজ চাষ করি। প্রথমে বীজ বপন করলেও কিছুদিন পরে অসুখে চারাগুলো মরে যায়। আমরা আবার বীজ বপন করি এবং ফসল পাওয়া পর্যন্ত আমার খরচ হয় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। তবে কৃষকরা জানান, স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কোনো সহযোগিতা বা পরামর্শ আমরা পাইনি। আমরা এবার সম্পূর্ণ নিজস্ব ধারণায় চাষাবাদ করেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শ পেলে হয়তো আরো ভালো হতো।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানূজ্জামান চৌধুরী বলেন, চলতি বছরে পারকী, ফুলতলা, বার আউলিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। আগামিতে আমরা তরমুজ চাষে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করব।