‘আটক পাইলটের মুক্তি ভারতের কূটনৈতিক বিজয়’

31

পাকিস্তানে আটক হওয়া বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের মুক্তিকে ভারতের কূটনৈতিক বিজয় আখ্যা দিয়েছে ক্ষমতাসীন এনডিপি জোটের প্রধান শরিক ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি। দলের সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, কাশ্মিরে হামলা এবং পরবর্তী বিমান হামলার ঘটনায় পাকিস্তান বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মধ্যে মুক্ত হয়ে ভারতে ফেরার কথা আটক পাইলট অভিনন্দনের।
২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে ইঙ্গিত দেন, শান্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখলে তারা অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দিতে রাজি। এরপর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার মুক্তির সিদ্ধান্ত জানান। অসমর্থিত সূত্রে বিজনেস টুডে জানিয়েছে, এরইমধ্যে তিনি লাহোরে পৌঁছেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। যেখানে ভারতের পক্ষ থেকে অভিনন্দনকে বরণ করা হবে লাহোর থেকে সেই ওয়াঘা সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। সেই সীমান্ত এলাকায় অভিনন্দনকে বরণ করতে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষরাও যোগ দিয়েছেন এই আনন্দ উৎসবে। অভিনন্দন ফেরার আগ মুহূর্তে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পুলওয়ামা হামলার পরবর্তী বিমান আক্রমণের ঘটনায় পাকিস্তান সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে পাইলট অভিনন্দনকে ফিরিয়ে আনার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারাটা আমাদের কূটনৈতিক বিজয়’।
বুধবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি বিমান ভূপাতিত করার পাশাপাশি ভারতীয় পাইলটকে আটক করে তার ভিডিও প্রকাশ করে তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবারের এক বিবৃতিতে ‘মানবিকতা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন আর জেনেভা কনভেনশন উপেক্ষা করে আহত সেনার কুরুচিপূর্ণ উপস্থাপন’র জোরালো নিন্দা জানানো হয়। আটক পাইলটকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার আহব্বানও জানানো হয়। একইদিনে (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘উত্তেজনা নিরসনে ভূমিকা রাখলে আমরা ভারতীয় পাইলটকে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত’। কিছুক্ষণ পর পার্লামেন্টের এক যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, ‘শান্তির নিদর্শনের অংশ হিসেবে আমরা আটক ভারতীয় পাইলটকে আগামীকাল মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ অবশ্য ভারতের দাবি, জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের ভয়ে পাকিস্তান আটক বিমান সেনাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।