আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আটকে যাচ্ছে ‘চুক্তিহীন ব্রেক্সিট’

22

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকে দিতে একটি বিল পাস হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ লর্ডসের অনুমতির মাধ্যমে এটি পাস হবে। এর আগে বুধবার এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন দেশটির এমপিরা। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার রাতে হাউজ অব কমন্সে দুই দফা পরাজিত হয়েছেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। মঙ্গলবার জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন। এই প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাব পাশ হলে হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনার কথা জানান।
সংসদ সদস্যরা ‘নো-ডিল ব্রেক্সিট’ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যাবার বিষয়টি আটকে দিয়ে একটি বিল পাশ করেছেন সংসদে। এই বিলটি এনেছে বিরোধী দলগুলো, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একদল বিদ্রোহী এমপি। ধারণা করা হচ্ছিলো ব্রেক্সিট সমর্থক এমপিরা এই বলটি আটকে দেবেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এই মুহূর্তে হাউস অফ কমন্স নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিদ্রোহী এমপিদের কাছে। ফলে তারা ব্রেক্সিট ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রস্তাব দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে বিল আনার সুযোগ পাবেন। বিলের মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি সমঝোতা করে পার্লামেন্টে নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ফিরে যেতে হবে এবং অনুরোধ জানাতে হবে যে ব্রেক্সিটের সময়সীমা ২০১৯ সালের ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হয়। ‘নো-ডিল ব্রেক্সিট’ আটকে দিয়ে পার্লামেন্টে যে বিল পাস করা হয়েছে সেটি এক অর্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আতœসমর্পন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।