আজাদ কাশ্মিরে ঢুকে ৪ জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি ভারতের

23

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের জঙ্গি শিবিরে আক্রমণ চালিয়ে ৪টি জঙ্গি শিবির ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। সেনা সূত্রের দাবির বরাতে স¤প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিযানে ৪ থেকে ৫ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে একে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর থেকেই চিরবৈরী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। কাশ্মির সীমান্তে রবিবার দুই পক্ষের গোলাগুলিতে প্রায় ডজনখানেক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাদের সাতজন এবং ভারতের পক্ষ থেকে তাদের তিনজন নিহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, সীমান্তে দুই পক্ষের পারস্পরিক হামলার পর আজাদ কাশ্মিরের নীলম উপত্যকায়, কুপওয়াড়ার তংধর সেক্টরের বিপরীতে চারটি জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, ওই জঙ্গি শিবিরগুলি থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানো হতো। জম্মু ও কাশ্মিরের পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতেই এমনটা করা হতো বলে দাবি তাদের। বাংলাট্রিবিউন

জঙ্গি হামলার শঙ্কা: নজরদারিতে দিল্লির ৪ শতাধিক স্থাপনা

পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মুহাম্মদের সদস্যরা হামলা চালাতে পারে, এমন শঙ্কায় ভারতের রাজধানী দিল্লির চার শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবন, মার্কেট ও স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারসহ ২৪ ঘণ্টার নজরদারি শুরু হয়েছে। দিওয়ালিকে সামনে রেখে এ হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছে ভারতীয় পুলিশ।
পুলিশের বরাতে রোববার (২০ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, দিল্লির রোহিনি, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর, পূর্ব, সেন্ট্রাল, নয়া দিল্লি ও দ্বারকা- এই আট জেলা বেশি স্পর্শকাতর। ধারণা করা হচ্ছে, এসব জেলার অন্তত ৪২৫টি ভবনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করতে পারে জঙ্গিরা। এক নয়া দিল্লিতেই স্পর্শকাতর ভবন রয়েছে দুই শতাধিক। এসব ভবন বা স্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। নয়া দিল্লিতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেনা ভবন, পার্লামেন্ট হাউস, রাষ্ট্রপতি ভবনকে এমনিতেই স্পর্শকাতর জায়গা হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু, এখন রাজ্যের বড় বড় সব মার্কেট, মসজিদ, আনন্দ বিহারেরও মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকেও হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলানিউজ