আগামী অধিবেশনে বৈষম্য বিলোপ আইন পাশ হবে

35

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বৈষম্য বিলোপ আইন তৈরির কাজ চলছে এবং এটি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি অধিবেশনে সম্ভব না হলে আগামী অধিবেশনে এটি পাস করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল নিরপত্তা আইন পাস করেছি এবং এটা কার্যকর করেছি। এখন আমরা সাইবার ট্রাইব্যুনালকে জোরদার করবো। তার কারণ হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর যদি উপযুক্ত বাস্তবায়ন প্রয়োজন হয় তাহলে কিন্তু সাইবার ট্রাইব্যুনালকে সুষ্ঠু এবং শক্ত করতে হবে। সেই কারণে আমরা সাইবার ট্রাইব্যুনালের দিকে নজর দিয়েছি এবং এই কাজ আমরা করে যাচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাতে কোন অপব্যবহার না হয় সেদিকেও আমরা নজর রাখছি।
গতকাল বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের ২২তম এজিএম ও আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় এক কোটি মানুষ অ্যাজমা রোগে ভুগছে। এটা আমাদের জন্য খুশির খবর নয়। তাই এ রোগের প্রকৃত কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দূষিত বায়ু অ্যাজমার অন্যতম কারণ। তাই আমাদের বায়ুদূষণ কমাতে হবে এবং নির্মল বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কলকারখানা, যানবাহন ও ইটভাটা নির্গত ধোঁয়া পরিশোধনের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। রাস্তার পাশের আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা আর কোন সরকারের আমলে হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দশ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এর আগেও দশ হাজার চিকিৎসক ও দশ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যখাতের চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন প্রতিষেধকমূলক কার্যক্রমের ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু এখন পাকিস্তান ও ভারতের উপরে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২ এর উপরে। স্বাধীনতার পরে যা ছিল ৪৭ বৎসর। উন্নয়নের অনেক সূচকে আমরা সাউথ ইষ্ট এশিয়ার মধ্যে সেরা অবস্থানে আছি। ২০১৮ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের সারিতে উঠার যোগ্যতা অর্জন করেছি। জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবই ইনশাআল্লাহ্।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইতিমধ্যেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত ১৩ হাজার ৭০০ কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩৩ রকমের জরুরি ও প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে গ্রামীণ রোগীদেরকে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা প্রদানে বাংলাদেশ বিশে^ একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। আমরা ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন প্রতিটি মানুষের আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করবো।
অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বশীর আহাম্মদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (ভারপ্রাপ্ত) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।