আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার

29

২৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে দেওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ফিলিপাইনে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ৪৫৬ জন। আক্রান্তদের ৩০ শতাংশের বয়স ৫-৯ বছর। ডেঙ্গু রোগে মারা যাওয়াদের মধ্যে একটা বড় অংশের (৪০%) বয়স ৫-৯ বছরের মধ্যে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই (৫৫%) পুরুষ হলেও এ রোগে প্রাণ হারানোদের বেশিরভাগই নারী (৫৩%)।প্রতি তিন-চার বছর পর পর ফিলিপাইনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশটিতে সর্বশেষ প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিলো ২০১৬ সালে। সে প্রবণতা অনুযায়ী, এ বছরও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে মিমারোপা, ওয়েস্টার্ন ভিসায়াস, সেন্ট্রাল ভিসায়াস ও নর্দার্ন মিন্দানাও-সহ চারটি অঞ্চলে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় ২ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস, যা ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। ফিলিপাইনে স¤প্রতি ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’ জারি করেছে সেদেশের স্বাস্থ্য দফতর। তাদের তথ্য অনুযায়ী, রোগীদের শারীরিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে গ্রæপ এ, বি ও সি এ তিন ভাগে ভাগ করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ সামলাতে হিমশিম খাওয়া ফিলিপাইন এখন সংকট মোকাবিলায় দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থার (ডিওএসটি) শরণাপন্ন হয়েছে। সংকটের উদ্ভাবনী সমাধান চাওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে। ডেঙ্গুজনিত জটিলতা প্রতিরোধ করতে দ্রæত রোগ শনাক্তকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ডিওএসটি। এক্ষেত্রে নিজেদের উদ্ভাবিত ‘বায়োটিক এম’ কিট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। বায়োটেক এম’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ শনাক্তের চেষ্টা করছে তারা। এর মাধ্যমে অসুস্থ হওয়ার দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে রোগ শনাক্ত করা যায়। ডিওএসটি কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রাথমিক অবস্থায় ডেঙ্গু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা খুব সহায়ক। আর দ্রæত রোগ শনাক্ত হলে জটিলতাও প্রতিরোধ করা যায়। এরইমধ্যে ‘বায়োটেক এম’ কিটটি কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকাগুলোতে এটিকে সহজলভ্য করতে কাজ করার জন্য টেকনোলজি ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে আহŸান জানানো হয়েছে।