আওয়ামী লীগ ও আঞ্চলিক দলের মধ্যে হবে লড়াই

32

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাঙামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে কাপ্তাই ও লংগদু উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মফিজুল হক (কাপ্তাই) এবং আবদুল বারেক সরকার (লংগদু)। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মার্চ। কাপ্তাই ও লংগদু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে না। বাকি আট উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং আঞ্চলিক দলের মধ্যে।
রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল বলেন, লংগদুতে আবদুল বারেক সরকার এবং কাপ্তাইয়ে মফিজুল হক বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ওই দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ হবে না।
কাপ্তাই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান (বিএনপি) দিলদার হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচন না করার সুযোগে সেখানে বিনা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
লংগদু উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা নির্বাচন করলে এবারও বিএনপির প্রার্থী জয়ী হতেন। কাপ্তাই উপজেলায় বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, দলের জন্য পরিশ্রম করেছি। তাই দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে।
লংগদুর আবদুল বারেক সরকার বলেন, অন্যদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে আমি নির্বাচিত হয়েছি।
এদিকে সদরসহ জেলার বাকি ৮ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ প্রার্থী। আট উপজেলাতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ এবং জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউপিডিএফের (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) মধ্যে। নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ছে আওয়ামী লীগ ও সংস্কারবাদী জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপ এবং জেএসএস (মূল) ও ইউপিডিএফ জোট। রাঙামাটি সদরে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মো. শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান (আ.লীগ) ও বর্তমান চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা (জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র), নানিয়ারচরে জন্তিনা চাকমা, জ্ঞান রঞ্জন চাকমা, পঞ্চানন চাকমা ও প্রগতি চাকমা (সবাই স্বতন্ত্র)। তবে প্রগতি চাকমা সংস্কারবাদী জেএসএস (এমএন লারমা ও আ.লীগ সমর্থিত)। বিলাইছড়িতে জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা (আ.লীগ) ও বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা (জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র), জুরাছড়িতে রূপ কুমার চাকমা (আ.লীগ) ও সুরেশ কুমার চাকমা (জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র), রাজস্থলীতে উবাচ মারমা (আ.লীগ) ও শাক্য মিত্র তঞ্চঙ্গ্যা (জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র), বাঘাইছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা (জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র) ও সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা (সংস্কারবাদী জেএসএস ও আ.লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র), বরকলে চেয়ারম্যান সবির কুমার চাকমা (আ.লীগ) ও বিধান চাকমা (জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র), কাউখালীতে শামসুদ্দোহা চৌধুরী (আ.লীগ) ও অর্জুন মনি চাকমা (ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র)।
এ ছাড়া ১০ উপজেলায় পুরুষ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬০ প্রার্থী। তারা হলেন- সদরে অনুপম চাকমা, দুর্গেশ^র চাকমা, রিতা চকমা ও নাসরিন আক্তার, নানিয়ারচরে মো. নুর জামাল হাওলাদার, রণ বিকাশ চাকমা ও সুজিত তালুকদার, আসমা আক্তার, কোয়ালিটি চাকমা ও প্রমিকা চাকমা, বিলাইছড়িতে (পুরুষ) অংশৈপ্রু মারমা, রবিন তঞ্চঙ্গ্যা ও সোনা লাল তঞ্চঙ্গ্যা, উৎপলা চাকমা, ময়না চাকমা ও সুদিপ্তা তঞ্চঙ্গ্যা, জুরাছড়িতে রিটন চাকমা ও শ্যামল কান্তি চাকমা, আল্পনা চাকমা ও জ্যোস্না চাকমা, কাপ্তাইয়ে অংলাচিং মারমা, মো. আলম, মো. নাছির উদ্দিন, সুব্রত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, উমেচিং মারমা, নুর নাহার, ফারহানা আহমেদ পপি ও মনোয়ারা জাহান, রাজস্থলীতে হারাধন কর্মকার ও অংনুচিং মারমা, রাজু আক্তার ও উচসিন মারমা, বাঘাইছড়িতে অমর শান্তি চাকমা, রিপন চাকমা, মো. আবুল কাইয়ুম, মো. আনোয়ার হোসেন ও সমীরন চাকমা, সাগরিকা চাকমা ও সমিতা চাকমা, বরকলে মো. লোকমান হোসেন ও শ্যাম রতন চাকমা, রাখী চাকমা ও সুচরিতা চাকমা, কাউখালীতে মংসুইউ চৌধুরী, কংপ্রু মারমা ও শান্তিময় চাকমা, এনি চাকমা কৃপা ও নিংবা উ মারমা এবং লংগদুতে মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক, মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক মামুন, মো. শাজেদুর রহমান, এসএম হায়দার আলী, মো. রাকিব হোসেন, মো. ইমাম হোসেন, সুচিত্র কুমার চাকমা, আনোয়ারা বেগম, ফাতেমা জিন্নাহ, নুর জাহান বেগম ও মোছা. মমতাজ।