আইএস জঙ্গিদের ইউরোপে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের

27

সিরিয়া ও ইরাকে আটককৃত আইএস জঙ্গিদের ইউরোপে ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের লনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আড়াই হাজার জঙ্গি সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আটক রয়েছে। তাদের নিজ দেশে ফেরাতে হবে।
ইউরোপ যদি তাদের ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ওয়াশিংটন এসব জঙ্গিকে মুক্তি দেবে যাতে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়। আটককৃতদের মধ্যে ফ্রান্স ও জার্মানির নাগরিকও রয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এসডিএফ-এর হাতে প্রায় ১৩ হাজার সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি আটক রয়েছে বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা দুই হাজার। বাকি ১১ হাজার নারী ও শিশু। ২০১৯ সালের মার্চে আইএসের কথিত খেলাফত ভেঙে পড়ার পর এদের আটক করা হয়েছিল। সে সময়ই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, কথিত খিলাফতের পতন হলেও আইএস নিয়ে সজাগ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। গত মার্চে আইএসের পতনের পর ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া আইএসের কথিত খিলাফতের পতনের ঘটনা ইতিবাচক হলেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি এখনও একটি হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে। ফলে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার আগ পর্যন্ত জঙ্গিদের ব্যাপারে সজাগ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরাকে ২০০৩ সালের মার্কিন আগ্রাসনের পর সেখানে সৃষ্ট গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ জন্ম নেয় আইএস। অতীতের যে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে হিংগ্রতা নিয়ে তারা আবির্ভূত হয় ‘ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক’ নামে। ২০১১ সালে তারা রাক্কাকে রাজধানী ঘোষণা করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। গোষ্ঠীটির নতুন নামকরণ হয় ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (সিরিয়া)। এক সময় ইরাক-সিরিয়ার ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। তাদের খেলাফতের অধীনস্ত হয় প্রায় এক কোটি মানুষ। তবে মার্কিন ও রুশ বাহিনীর বিমান হামলার পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিরোধ-যুদ্ধে পাঁচ বছর পর কথিত সেই খিলাফত সংকুচিত হয়ে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে সিরিয়ার ইউফ্রেটিস নদীর এক বাঁকে। সর্বশেষ গত মার্চে তাদের কথিত খিলাফতের পুরোপুরি পতন ঘটে।