‘আইএসআই’র ইন্ধনে সেনাবাহিনী নিয়ে অপপ্রচার’

67

পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর ‘ইন্ধনে’ বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সেনাবাহিনী নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পর ভোট গ্রহণের চার দিন আগে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মনগড়া, বিকৃত ও বাস্তবতা বিবর্জিত মিথ্যাচার রাজনীতির ময়দান ছেড়ে জাতির গর্ব ও আত্মমর্যাদার স্মারক জাতীয় সেনাবাহিনী পর্যন্ত গড়িয়েছে।
আজ বিএনপি-জামায়াত পরাজিত পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জোরেশোরে তুলেছিল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গত ২৪ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েনের পর সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর নানা তথ্য আসতে থাকে, যা নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়।
এই অপপ্রচারে বিএনপি-জামায়াত জোটের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে তাতে আইএসআইর যোগসূত্র থাকার নজির হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কথিত টেলি কথপোকথনকে দেখাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। খবর বিডিনিউজের
রহমান বলেন, কিছু দিন আগেও আপনারা দেখেছেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা. জাফরুল্লাহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে নিয়ে কীভাবে নির্লজ্জ, মিথ্যাচার, অপপ্রচার করেছে। আর এখন সেনাবাহিনীর নামে বিভিন্ন ভুয়া ওয়েবসাইট ও ফেসবুক আইডি খুলে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
সেনাবাহিনী নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ‘এই ধরনের ষড়যন্ত্র নতুন নয়’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্যু এর নামে তথাকথিত সামরিক ট্রাইবুনালে প্রহসনের বিচারে শত শত মুক্তিযোদ্ধা, সেনা কর্মকর্তা, হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছেন। প্রতিদিন নাস্তার টেবিলে বসে অবৈধ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শত শত সেনা সদস্যের ফাঁসির রায় স্বাক্ষর করতেন।
আওয়ামী লীগ ছেড়ে গিয়ে এখন বিএনপির জোটসঙ্গী হওয়া কামাল হোসেনকে ‘পাকিস্তানি ভাবধারার অনুসারীদের অভিভাবক’ আখ্যায়িত করেন রহমান।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতা পাকিস্তানপ্রেমী ড. কামাল হোসেন গতকাল (সোমবার) তার সংবাদ সম্মেলনে ৭১ এর গণহত্যাকারী ইয়াহিয়া খানের নাম উচ্চারণ করেছেন। বিবেকের আয়নার সামনে দাঁড়ালে ইয়াহিয়ার পাশে নিজেকে দেখতে পাবেন।
দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে থাকা ‘রাজাকার’দের ২৩ জনের নামের একটি তালিকা তুলে ধরেছিলেন।
তার পাল্টায় রহমান বলেন, বিএনপি নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারে’ নেমেছে।
এটা শুধু বলার জন্য বলা। আওয়ামী লীগের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী আলিমকে কেউ খুঁজে পাবে না, এই আওয়ামী লীগের মধ্যে নিশ্চয়ই মুজাহিদ এবং নিজামীকে খুঁজে পাবে না।
যুদ্ধাপরাধীদের ট্রাইবুনালে বিচার হয়েছে এবং সেই বিচারের রায় হয়েছে। এরকম কোনো যুদ্ধাপরাধী আওয়ামী লীগের মধ্যে যদি থেকে থাকে, তাহলে তাদের ট্রাইবুনালের আশ্রয় নেওয়া উচিত ছিল।
বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হামলা ও সহিংসতার অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত আশঙ্কা থেকে তারা ঢাকাসহ সারাদেশে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জেনেছি।