আইআরজিসি প্রধান ইরানের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সব সমীকরণ এখন এলোমেলো

31

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন-আল আসাদে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের সমীকরণ এলোমেলো হয়ে গেছে। সোমবার ইরাকের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়াদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইআরজিসি প্রধান ওই মন্তব্য করেন।গত ৩ জানুয়ারি ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে আইআরজিসি’র কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। ইরাকের সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের (হাশদ আশ-শাবি) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহাদি আল মুহান্দিসসহ আরও ৮ জন ওই হামলায় নিহত হন। জবাবে ইরাকের আনবার প্রদেশের মার্কিন ঘাঁটি আইন-আল-আসাদে ইরান ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইরানের ওই পাল্টা হামলায় মার্কিন ঘাঁটি তছনছ হয়ে যায়। আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, ‘এই অভিযান ইরানের চূড়ান্ত কোনও কৌশলগত জবাব ছিল না; বরং ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল মার্কিন অপরাধযজ্ঞের প্রতিক্রিয়ার সূচনামাত্র। আগে আমেরিকা কোনও দেশে হামলা করলে পাল্টা হামলার কথা চিন্তাও করতো না। তবে ইরানের জবাবে ওয়াশিংটন এখন তাদের হিসাব-নিকাশের সমীকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে।’
জেনারেল সালামি আরও বলেন, ইরান মাত্র একটি সুনির্দিষ্ট পয়েন্টে হামলা চালিয়েছে, অথচ ওই হামলার প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। ইরানের পক্ষ থেকে মার্কিন অপরাধযজ্ঞের কৌশলগত জবাব সেদিন শেষ হবে যেদিন সর্বশেষ মার্কিন সেনা সদস্যটি পশ্চিম এশিয়া ছেড়ে যাবে। ইসরায়েলের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জেনারেল সালামি বলেন, ‘ইসরায়েল অধিকৃত প্রতিটি পয়েন্ট ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ইসরায়েল আমেরিকার তুলনায় নগণ্য এবং অনেক বেশি অক্ষম।’