অ্যাম্বুলেন্সেই ছিন্নভিন্ন রোগীসহ একই পরিবারের তিনজন

93


আনোয়ারায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্বশুর ও পুত্রবধূসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় চাতরী চৌমুহনী বাজারের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া এলাকার খলিলুর রহমানের পুত্র মফিজুর রহমান (৭০), পুত্রবধূ জয়নাব বেগম (২৮) ও বুলবুল আক্তার (২৫)। দুর্ঘটনায় গাড়ির হেলপার আহত হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
আহতরা হলেন, নিহত মফিজুর রহমানের পুত্র সাইফুদ্দিন (২৫), নেজাম উদ্দিন (২০), চকরিয়ার সামসুল আলমের পুত্র অ্যাম্বুলেন্সের হেলপার মোহাম্মদ মুন্না (২৫)। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে আসা রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স চাতরী চৌমহনী বাজারের উত্তর পাশে আসলে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই দুইজন প্রাণ হারান। এ সময় গাড়িতে থাকা রোগী মফিজুর রহমানের (৭০) শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে গাাড়টি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন। আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদ ও আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, দশদিন আগে মেরুদন্ডে ব্যথা হলে মফিজুর রহমানকে (৭০) চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। গতকাল তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী বাজারের পাশে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আনোয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এ ঘটনায় নিহতের পুত্র কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। আমরা গাড়ির নাম্বারের সূত্র ধরে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।