অস্বস্তি

70

বাংলা একাডেমির ‘আধুনিক বাংলা অভিধান-এ ‘অস্বস্তি’ শব্দটি এভাবে আছে। ‘অস্বস্তি’ ‘অশ্শোস্তি’-যাহার ব্যাখ্যা স্বস্তির অভাব, অস্বাচ্ছন্দ, অসুবিধা, স্বাচ্ছন্দবোধ করে না এমন, অশান্তিজনক ইত্যাদিকে বোঝানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সমাজের সর্বস্তরে কেমন যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। সাধারণ নাগরিক প্রায় প্রতিক্ষেত্রে অপ্রাকাশ্য অস্বস্তিকর অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। সে শিশু, নারী, বৃদ্ধ কিংবা যুবক যে পর্যায়ের, বয়সের হোক না কেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। মনে শান্তি নেই, কেমন নে, খচখচ করছে সারাক্ষণ। তারপরও নাগরিক সমাজ প্রতিবাদহীন। এ যেন তাদের ভাগ্যের নিয়তি। সবাই চুপচাপ মেনে নিচ্ছে। সকলের চেতনা, বিবেক, তারুণ্য, আভিজাথ্য যেন ভোঁতা হয়ে গেছে। নির্বিকার বলদ বা গাধার মতো নীরবে সয়ে যাচ্ছে? তাহলে কী নাগরিক সমাজ আফিস আসক্ত? কিন্তু তা তো সম্ভব নয়! সমাজে আফিস নিষিদ্ধ ও অবৈধ এবং সহজলভ্য নয়। তা হলে প্রশ্নহলো কেন নাগরিক সমাজ অস্বস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন না? এ নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। আজ আমি আমার কয়েক ক্ষেত্রে অস্বস্তির ধারাবাহিক বর্ণনা দিতে চাইÑজানি না, বিজ্ঞ পাঠক আপনাদের ক্ষেত্রে আমার মতো অস্বস্তি জাগ্রত হয় কী না। অর্থাৎ আনকমফোর্ড ফিল করেন কী না? তাহলে মিলিয়ে নেয়া যাক; ১) চট্টগ্রাম ওয়াসা, নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। নাগরিককে সুপেয় পানি সরবরাহের নিক্ষিতে তারা নানা উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছে। বলা যায়, ওয়াসার কর্তৃক সড়কগুলি সারা বছর ধরে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এতে করে নাগরিকদের চলাচলের যেমন অসুবিধা হচ্ছে। তেমনি সারা শহরজুড়ে ধুলো বালিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। আর যানজটের কথা কী বলবো, ওয়াসার কারণে সারা শহরের কোথাও না কোথাও যানজট লেগেই আছে। কেন বাপু সারা বছর ধরে চলে খোঁড়াখুঁড়ি। সমন্বিত পরিকল্পনা করে কাজ করলে তো এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না নগরবাসীকে? কিভাবে সমন্বিত পরিকল্পনা নেবে ওয়াসা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মেয়াদ-উত্তীর্ণ লোকেরাই যে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। আরও হাস্যকর বিষয় আফ্রিকার দেশ উগান্ডা যারা নিজেরা সুপেয় পানিসহ নানান সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত। সেখানে ওয়াসার লোকজন সুপেয় পানির জন্য প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছে। কতো হাস্যকর। আর দেশ খুঁজে পেল না। ওয়াসার লোকজন বলছে টাকা বিশ্বব্যাংকের! বিশ্ব ব্যাংক তো টাকা মফতো দেয়নি। সুদ আসলে আমাদের জনগণ থেকে নেবে। সে হিসাব কী তারা কষেন? তারপরও সম্প্রতি ওয়াসার পানি মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। মরার উপর খড়ার ঘা আর কি! ২) বাংলা লিং এর সার্ভিস সেন্টার। আগাবাদ মোড়ের পশ্চিম পাশে একটি সার্ভিস সেন্টার আছে। সার্ভিস সেন্টারে মানুষ শখ করে কিংবা তামাসা দেখতে যায় না। শীতাতাপ ঘরে প্রবেশ করা মাত্র দৌড়ে এলো এক যুবক। ফিটফাট। বললো, স্যার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বেশ ভাল কথা। সে স্মার্ট ফোনে টেপাটেপি করে বললো, আপনার নাম্বার ২১… বেশ ভালো কথা। চোখ বুলিয়ে দেখলাম গ্রাহক বসার জন্য কোন চেয়ার/বেঞ্চ নেই। সম্প্রতি পায়ে আঘাত পেয়েছি। দাঁড়াতে সমস্যা হচ্ছিল। বাবাকে শুধালাম, সিনিয়র সিটিজেন বা অসুস্থ ব্যক্তিদের বসার কোন ব্যবস্থা আছে? একগাল হেসে বললো-বিদেশি কোম্পানি তো, তারা ব্যবস্থা রাখে নি। বললাম, বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, এ দেশিদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানাবেন না। আপনাদের গ্রাহক তো সবাই বাংলাদেশি। দাঁত কেলানো ছাড়া সে আর কোন অভিব্যক্তি প্রকাশ করলো না। বললাম অভিযোগের বই আছে। সে মোটা একটি খাতা এগিয়ে ছিল। কষে লিখে দিলাম। দাঁড়াতে আমার বেশ কষ্ট ও অস্বস্তি হচ্ছিল। চুল দাঁড়ি সাদা এবং আমার অস্বস্তি দেখে ডেক্সে বসা তরুণীটি তাঁর চেয়ারটি এগিয়ে দিয়ে সে দাঁড়িয়ে কাজ করছিল। এতে প্রমাণিত হলো দেশে এখনও মানবতা আছে। নাম না জানা তরুণীটিকে ধন্যবাদ। ৩) নকিয়া সার্ভিস সেন্টার, একই ভবনের তৃতীয় তলায় নকিয়া সার্ভিস সেন্টার। আমার সেনটি চার্জ হচ্ছিল না। স্থানীয় এক মেকানিককে দেখালাম সে জানালো মেরমাত করে দিবে। আমি নকিয়ায় গেলোম অরিজিন্যাল পাস্টস্ পাওয়ার আশায়। তারা দেখে শুনে বললো এই মডেল সম্প্রতি দেশে এসেছে। আপনি এক সপ্তা পরে খোঁজ নিন। পেতেও পারেন, নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না। চার্জ ছাড়া সেট অচল। দারুণ অস্বস্তি লাগছে। অন্য সেটটি হ্যাং হয়ে আছে। চলে গেলাম গুলজার মার্কেটে। দেখে শুনে এক শিক্ষকের পরিচিত একটি মেরামতের দোকানে গেলাম। সে জানালো স্যার ৪৫ মিনিট সময় দিতে হবে। সে জানালো, অরিজিন্যাল পার্টস্ট দিয়ে সে মেরামত করে দেবে। সেটটি বিল্ড ইন। তাই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে অগত্যা তাকে দিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা পর সে মেরামতকরে দিল। প্রশ্ন হলো নকিয়া সার্ভিস সেন্টার তা হলে কেন? ৪) কুরিয়ার সার্ভিস: আন্দরকিল্লা মোড়ে সুন্দর বন কুরিয়ারের একটি কর্নার আছে। সম্প্রতি ‘দখিনা’ প্রকাশ হওয়ায় ঢাকার এক লেখককে সৌজন্য কপি পাঠানোর জন্য বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে দেখি দোকানটি বন্ধ। আশে পাশে থেকে জানতে পারলাম আশুরা উপলক্ষে আজ জাতীয় ছুটির দিন। তাই আজ কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস বন্ধ। আশ্চার্য হয়ে যাই কুরিয়ার সার্ভিস একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানকারী সংস্তা। বিদেশে অর্থাৎ উন্নত দেশগুলিতে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কোন ছুটি নেই। থাকা উচিতও নয়। দেশের নাগরিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, দলিল পত্র, মালামাল প্রেরণ করতে পারেন। যদি এ ধরনের বারো মাসে তের পার্বন উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সেবাদানকারী সংস্থা বন্ধ থাকে, তাহলে বেচারা মানুষেরা যাবে কোথায়। দেশে পোস্ট অফিসের সেবাতো এখন নাগরিকেরা গ্রহণ করে বলে মনে হয় না। সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান/মালিকদের এ বিষয়টি গুরুত্বদের সাথে বিবেচনা করার দাবি রইল। ৫) ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট: ভারতসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পূর্ব এপয়েন্টমেন্ট নেয়ার ব্যবস্থা আছে। দেশের বাইরে কথা বলি কেন, ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এপয়েন্টমেন্ট আগে ভাগে চট্টগ্রামে বসে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু দেশের দ্বিতীয় রাজধানী চট্টগ্রামের কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এপয়েন্টমেন্ট নিতে যত বিড়ম্বনা। তাদের কার্ডে লেখা আছে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হলে সকাল এতটা থেকে অমুক নাম্বারে কল করে নিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে কোন কারণে আমার চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয়। আগে ঢাকার চিকিৎসকের এপয়েন্টমেন্ট টেলিফোনে বা হট লাইনে যোগাযোগ করে নিয়েছি। কিন্তু চট্টগ্রামের এবার এপয়েন্টমেন্ট নিতে অস্বস্তিতে পড়ে যাই। প্রথম প্রথম আমি ব্যর্থ হয়ে যাই। পরে ভাই ঝিকে জানালাম, আমার ব্যর্থতার কথা। সে পরের দিন আমাকে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে দিল। জানতে চাইলাম কিভাবে সম্ভব হলো। সে জানানো তিনটি সেটে তিন কোম্পানির মাধ্যমে সে চেষ্টা করে সুযোগ পায়। পরবর্তীতে আমি একই পন্থা াবলম্বন করি। কিন্তু প্রশ্ন হলো সকল রোগীর কী ২/৩টি সেট আছে? প্রবীন ও অসুস্থ্য মানুষেরা কীভাবে এপয়েন্টমেন্ট নেবে। চিকিৎসকরা সকলে কোন না কোন ক্লিনিক বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে বসে রোগী দেখেন। ঐ সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বুকিং দিতে পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, চিকিৎসকের এডেন্টডেন্ট এর হাতে টাকা গুঁজে পূর্ব সিরিয়াল না নিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যায়। চিকিৎসক মহোদয় এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
৭০ মিনিটের লজ্জা : সম্প্রতি চট্টগ্রামে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের টেস্ট খেলা সম্পন্ন হলো। বাংলাদেশের তুলনায় আফগানিস্তান শিশু পর্যায়ের দল। বাংলাদেশ টেস্ট স্টাটাস পেয়েছে প্রায় ১৮/১৯ বছর হয়ে গেল। আফগানিস্তানের ২/৩ বছর। এই শিশু দলের কাছে বাংলাদেশ লজ্জাজনক ভাবে হেরেছে। দুভার্গের বিষয় হলো বাংলাদেশের খেলোয়ারগণ মাত্র ৭০ মিনিট খেলতে সমর্থ হয় নি। অনেকেই আশা করেছিল বৃষ্টি এসে বাংলাদেশকে রক্ষা করবে। কিন্তু তাও হলো না। কিন্তু এমন কেন হলো? আমরা বাঙ্গালিরা বেশি হুজুকে জাতি। খেলোয়ারগণকে নিয়ে আমাদের মাতামাতি আর বাড়াবাড়ির মাত্রা অনেক বেশি। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচসহ সমগ্র বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে হবে। এবারের বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের চেয়ে ক্রিকেটটিমের জন্য বেশি বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নীতি ও নৈতিকতার প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পুরা জাতি এমন লজ্জায় পতিত হতে হতো না। ক্রিকেট বোর্ডকে পুনর্গঠন করে সকলকে পেশাদারী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। তা যদি করা সম্ভব না হয় তবে জনগণের টাকার যেমন অপচয় হবে তেমনি বিশ্বে আমাদের সম্মান ভ‚লুণ্ঠিত হতে বাধ্য। সরকার প্রধানকে এ বিষয়ে কঠোর মনোভাব নিয়ে নির্দেশনা দেয়ার বিকল্প নেই।
বাঁশ কোঁড়ল : এক সময় পাহাড়িরা বাঁশ কোঁড়ল পছন্দ করতো। সমভ‚মির মধ্যে সিলেটের অধিবাসীদেরও প্রিয় ছিল বাঁশ কোঁড়ল। সিলেটে নতুন দামান (জামাতা) আসার অপেক্ষায় থাকেন শাশুড়ি। দামান এলে বাঁশ আর হাঁস রান্না করে খাওয়াবেন। এটা তাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে শহরে বন্দরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাঁশ কোঁড়ল। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে বাঁশ কোঁড়লের রান্নার উপকরণ ও গুণাবলী। এক সময় যা শুধু মাত্র পাহাড়ি উপজাতি ও দেশের অঞ্চল বিশেষের খাদ্য ছিল। আধুনিক মাধ্যমে তা আজ ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। একে চাকমরা বলেন, ‘বাচ্চুরি’, মারমারা ‘নাহার’, ত্রিপুরারা বলেন, ‘মইরা’। যে নামেই ডাকা হউক না কেন পাহাড়ি এবং সিলেট ও তৎসংলগ্ন মানুষ শত শত বছর ধরে খেয়ে আসছেন বাঁশ কোঁড়ল। চীন, জাপান, কোরিয়া, থ্যাইল্যাÐ, পিলিপাইন, নেপাল ও ভারতের জনগণের কাছে জনপ্রিয় ? সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন রেস্তরায় এবং চট্টগ্রাম ও ঢাকার কোন কোন রেস্তরায় বাঁশ কোঁড়ল বিক্রি হচ্ছে উপাদেয় সবজি হিসেবে। প্রাকৃতিকভাবে জন্মালেও বাঁশ কোঁড়ল সবজি হিসাবে জনপ্রিয় হওয়ায় পাহাড়ি বনভ‚মি এখন হুমকীর মাঝে। প্রাকৃতিক বাঁশ বন কমে যাওয়ায় জীব বৈচিত্র্য হুমকীর মাঝে পড়ছে। এই বাঁশ অনেক জীব-জন্তুর খাদ্য ও আবাস ভ‚মি। পাখিরা হারাবে আবাসভ‚মি। অতএব জীব-জন্তু ও বনভ‚মির কথা চিন্তা করে বাঁশ কোঁড়ল খাদ্য হিসাবে নিরুতসাহিত করার সময় এসে গ্যাচে। প্রয়োজনে আইন করে বন্ধ করা উচিত। তা করা সম্ভব না হলে অচিরেই বাঁশবন হারিয়ে যাবে। অর্থকরী সম্পদ রক্ষার জন্য সকল পক্ষের উদ্যোগী হতে হবে। বাঁচাতে হবে জীব বৈচিত্র্য। কাক্সিক্ষত বনভ‚মির জন্য উদ্যোগী হউন।
কাঠ বিড়ালি ও পাখি : আমার ফ্ল্যাটের পাশের ছাদে মাঝে মধ্যে ধুসর ও কেস্টা একটি কাঠ বিড়ালি দর্শন দেয়। বোঝা যায় খাদ্যের অভাবে আছে সে। সম্ভবত ডিসি হিল বা আশ-পাশের এলাকা থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে আসে। আমার ছাদে পেয়ারা, বেলুম্বি, কামরাঙ্গাঁ, বড়ই গাছ সহ সবজির বাগান। সে উপলক্ষে নানা জাতের পাখির সমাগম। দুইটি কাক দম্পতি, একটি গো শালিক দম্পতি এবং ভাতমালিক নিয়মিত আনাগোনা। তারা ও পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে তা নয়। পাখিদের সাথে কাঠ বিড়ালির নিবিড় সম্পর্ক। এক গবেষনায় দেখা যায় বনে পাখিদের চলাফেরার গতিবিধি লক্ষ্য রাখে কাঠ বিড়ালি। কারণ পাখি ও কাঠবিড়ালির শত্রæপক্ষ একই। তাই পাখির চঞ্চলতা বৃদ্ধি পেলে তা কাঠ বিড়ালির জন্য হুমকির। কবি নজরুল আদর করে জানতে চেয়েছেন, কাঠবিড়ালি কাঠবিড়ালি পেয়ারা তুমি খাও? হায় এখানকার পাখি ও কাঠবিড়ালি খাদ্য অভাবে আছে আমরা বিদেশি ও কাষ্ঠজ বুক্ষ লাগাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ঐ সকল বৃক্ষের ফল আমাদের পাখি ও বানিদের পছন্দ নয়।
নাগরিক জীবনে আমরা নানা বিধ অস্বস্তির মাঝে বসবাস করছি। এ নিয়ে কেউ এখন প্রতিবাদ করে না। সম্ভবত: বিবেক ও নীতিবোধ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই কেউ অন্যায় করলে প্রতিবাদ তো করি না বরঞ্চ পাশকাটিয়ে চলে যাই অথবা স্মাট ফোলে চিত্র ধারন করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেই। কিন্তু এই অস্বস্তি থেকে পরিত্রাণ জরুরী সুস্থ্য জীবনের জন্য।
লেখক : কবি ও নিসর্গীক, প্রাক্তন ব্যাংক নির্বাহী