অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছিল হামলাকারী

40

নিউ জিল্যান্ডের দুই মসজিদে হামলাকারী তার ব্যবহৃত অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছিল। এতে যুক্ত অধিক সক্ষমতার ম্যাগজিনের কারণে তার পক্ষে অল্প সময়ে অনেক মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল। উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন যে ম্যাগজিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত অস্ত্রে পাওয়া গেছে সেগুলোর লাইসেন্স বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া হয় না। হত্যাকারী নিজে সেগুলো যুক্ত করে বৈধভাবে বিক্রি হওয়া অস্ত্রটিকে সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্রের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এভাবে বৈধ অস্ত্রকে ‘উন্নত’ করার সুযোগ বন্ধে আইন সংস্কারের কথা ভাবছে নিউ জিল্যান্ড।নিউ জিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ক্যাটাগরি ‘এ’ লাইসেন্স আছে এমন যে কোনও ব্যক্তি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি কিনতে পারেন। ক্যাটাগরি ‘এ’ লাইসেন্স নিউ জিল্যান্ডে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্সগুলোর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের লাইসেন্স। এই লাইসেন্সধারীদের জন্য তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা নেই। ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স দিয়ে প্রায় দুই হাজার ভিন্ন ভিন্ন অস্ত্র কেনা যায়।
কিন্তু পুলিশ কমিশনার বলছেন, “ক্যাটাগরি ‘এ’র অধীনে যম্যাগজিন ও সেসব যন্ত্রাংশ কেনার অনুমতি দেওয়া হয় না, সেগুলো হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রে পাওয়া গেছে।” বন্দুকধারী ব্রেন্টন ট্যারান্টের ২০১৭ সাল থেকে একটি ক্যাটাগরি ‘এ ’ লাইসেন্স রয়েছে। তার কাছে মোট পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র থাকার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদের মধ্যে দুইটি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও দুইটি শটগান।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গান পলিসি ডট অর্গ ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ফিলিপ আলপার্স বলেছেন, বেশি গুলি ধরে এমন ম্যাগজিন যুক্ত করার মাধ্যমে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রকে খুব সহজেই সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্রের পর্যায়ে উন্নীত করা যায়। সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র বলতে সেসব অস্ত্রকে ধরা হয়, যেগুলোর ম্যাগজিনে পয়েন্ট টু টু বোরের ১৫টি গুলি ধরে। আরও বেশি ক্যালিবারের বন্দুকের ক্ষেত্রে সাতটি গুলি ধরে এমন ম্যাগজিন যুক্ত অস্ত্রকেও ওই শ্রেণির হিসেবে বিবেচনা করা হয়।