অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষা উপকরণ

38

কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা বি এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন শরীফ তানি। বাংলাদেশ বেতারের রবীন্দ্র সংগীতের শিল্পি হিসাবে তালিকাভুক্ত আছেন তিনি। এতদঞ্চলে একজন স্বনামধন্য জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পি, আবৃত্তিকার এবং উপস্থাপকক হিসাবে রয়েছে তাঁর অনেক অর্জন। ২০১৯ সালের জাতীয় শিক্ষা পদকে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক (মহিলা) স্কৃতি ও সম্মাননা পান। ইতোমধ্যে নানা কারনে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। করোনা ভাইরাস প্রকোপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর তিনি অনলাইনে শুরু করেছিলেন আমার ঘরে আমার স্কুল নামে ক্লাস, যা থেকে শত শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস গ্রহন করেছেন। মানবতার পুজারী এই শিক্ষিকা এবার গ্রহণ করেছেন আরোও একটি ব্যতিক্রমি উদ্যোগ। নিজের বেতনের অংশ হতে তার স্কুলের ও এলাকার অসহায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন খাতা কলম, পেন্সিলসহ নানা শিক্ষা উপকরণ। সেই সাথে তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন ঘরে বসে কিভাবে লেখাপড়া করতে হয়। ইতোমধ্যে তিনি চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা, ফেরিঘাট, দোভাষীবাজার, বনগ্রাম হাফেজ পাড়া, লিচুবাগানসহ অনেক জায়গায় প্রায় ৫০ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ঘরে গিয়ে শিক্ষা উপকরণ তুলে দিয়েছেন। তিনি তার সাধ্যমতো এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে জানান। এ বিষয়ে শিক্ষক রওশন শরীফ তানি জানান, কঠিন এ দু:সময়ে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের খোঁজ নিতে আমার এ হোম ভিজিট। পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি তাদের লেখাপড়ার অগ্রগতি নিয়ে অভিভাবকের সাথে আলাপ আলোচনা এবং সংসদ টেলিভিশন এর ক্লাস গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেবার জন্য অনুরোধ করেছি তাদের। যারা সংসদ টেলিভিশনের ক্লাসগুলো নিয়মিত দেখে এবং বাড়ির কাজ করছে তাদের বাড়ির কাজের খাতাগুলো যাচাই করেছি। ভালোবাসার উপহার হিসেবে তাদের খাতা কলম বিতরণ করেছি খুব সামান্যই, নিজের সামর্থ অনুযায়ী। মহামারী করোনা এ সময়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পারিনি শিক্ষা উপকরণ। কতদিন তাদের দেখি না, বুকের ভেতর কেবলই হাহাকার। আর কতদিন, আর কতদিন। শিক্ষক তানির এ কার্যক্রমে দেখে আরোও অনেকে এগিয়ে এসে এসব অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মানবতার হাত প্রসারিত করবেন, সকলের এ প্রত্যাশা।