অলির মুক্তি মঞ্চের উদ্যোগকে স্বাগত ফখরুলের

55

২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমেদের ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ এর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে যেকোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ও উদ্যোগ গ্রহণে। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেকোনও উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।’
গতকাল শুক্রবার শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী জিএম সিরাজসহ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
খবর বাংলা ট্রিবিউনের
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমেদ জাতীয় সংসদের পুনর্র্নিবাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বর্তমানে বরগুনার মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। প্রতিদিন খারাপ থেকে খারাপতর ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সবক্ষেত্রে দলীয়করণ, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করার কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে।’ গত ১০ বছরে যত হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ হয়েছে তা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যখন অপরাধী দলীয় কারণে শাস্তি না পেয়ে মুক্ত হয়ে যায় স্বাভাবিক কারণে অন্য অপরাধীদের সেই দলের ছত্রছায়ায় গিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। সেখানেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। যেহেতু দেশে আইনের শাসন নেই, জবাবদিহিতামূলক সরকার নেই তাই এসব হত্যাকাÐ বেড়েছে।’
জনগণ এই সরকারকে নির্বাচিত করেনি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পার্লামেন্টে জনগণের প্রতিনিধি নেই। সেই কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। এখানে ন্যায়বিচার নেই, বিচারহীনতা আছে। খুব পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি, গত এক দশক ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই শুধু নয়, বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করা হয়েছে।’
‘ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের পক্ষে খেলেছে’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এসব পলিটিক্যাল রেটোরিক্টস। এগুলো উত্তর পাবেন না আমার কাছে।’
বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বলেন, ‘এ উপনির্বাচনে বগুড়ার মানুষ এবার ভোট দিয়েছেন। ভোট উসবমুখর হয়েছে বলবো না। মানুষের ভোটের ওপর অনাস্থা, অনাগ্রহ। গত ১০ বছর ভোটের সংস্কৃতি নষ্ট করে দিয়েছে এই সরকার, মানুষ ভোট দিতে পারছে না।’ নির্বাচন কমিশনে ভোটের ফলাফলের গেজেট হলে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন বলে জানান তিনি।