অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না

63

নির্বাচনী প্রচারণায় সশস্ত্র হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের বিএনপির প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। প্রশাসনে অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রচারণা শুরুর প্রথম থেকে নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। কিন্তু তারা নিজেরা প্রতিনিয়ত আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে। প্রশাসন দেখেও দেখার না ভান করে আছে। বাঁশখালীর প্রত্যেক ইউনিয়নে বিশেষ করে সরল নজিরা মার্কেট, বাদালিয়া ও খালাছিয়া দোকান এলাকা, হারুন বাজার, পৌরসভা ও বিভিন্ন এলাকায় আমাদের ব্যানার- পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, সর্বশেষ বুধবার সরল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি গ্রুপ আমাদের ওপর হামলা করে। বন্দুক দিয়ে আমাদের সামনে গুলি চালায়। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা সাহসিকতার সাথে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। আমার দলের নেতারা পিছপা না হয়ে ঘটনাস্থলে বসে পড়েন। আমি বলেছি, আমাকে গুলি করো। আমার নেতাকর্মীদের গুলি করো না। সাথে সাথে তারা আমাকে বন্দুকের নল এবং হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে মারতে শুরু করে। এসময় আমিসহ ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনা জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এরপরও নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে বলেছি। দেহের শেষ রক্ত দিয়ে হলেও বাঁশখালীর মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, যুগ্ম সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ কাসেম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহিদুল আলম শহীদ, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার লোকমান আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।