‘অবৈধ তেল পাচারকারীদের রক্ষায়’ সিরিয়ায় মার্কিন উপস্থিতি

22

সিরিয়ার পূবাঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনী উপস্থিতি বজায় রাখা ‘প্রকৃত নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে নয় বরং তেল পাচারকারীদের রক্ষার ইচ্ছা থেকে’ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় দস্যুতা’ মার্কিন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য বলে শনিবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছে রাশিয়ার মন্ত্রণালয়টি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার জানান, সিরিয়ার তেল ক্ষেত্রগুলো ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের হাতে পড়া ঠেকাতে সেখানে সাঁজোয়া যান ও সেনা পাঠাবে ওয়াশিংটন। চলতি মাসের প্রথমদিকে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে প্রায় এক হাজার মার্কিন সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার পর ওই অঞ্চলে অবস্থানরত কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ওয়াইপিজি গেরিলারা দীর্ঘদিন মার্কিন বাহিনীর মিত্র হিসেবে পাশাপাশি থেকে লড়াই করেছে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে মার্কিন কংগ্রেসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় রিপাবলিকান সদস্যরাসহ বিরোধী ডেমোক্রেটরা প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত আইএসকে উজ্জীবিত করতে পারে বলে সতর্ক করে তারা। এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কিছু সেনা রেখে দেওয়ার হতে পারে বলে জানানোর পর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেন্টাগনের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, আন্তর্জাতিক আইন বা মার্কিন আইনানুযায়ী সিরিয়ায় সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করার কোনো আদেশ ওয়াশিংটন দিতে পারে না। ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা প্রকৃতপক্ষে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা উদ্বেগজনিত নয় বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, “ওয়াশিংটনের চলতি পদক্ষেপ- পূব সিরিয়ার তেল ক্ষেত্রগুলো দখল করে সামরিক নিয়ন্ত্রণে নেওয়া- সহজ ভাষায় বললে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় দস্যুতা।”
পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনারা ও বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলো তেল পাচারকারীদের সুরক্ষা দিচ্ছে আর তারা মাসে ৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি কামিয়ে নিচ্ছে বলে ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।