অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে ধসে পড়ছে ২৫০ কোটি টাকার ব্লক

64

বর্তমান সরকার শঙ্খ নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ইতিমধ্যে দোহাজারী চাগাচর এলাকাসহ শঙ্খনদীর উভয়পাড়ে ব্লক স্থাপন করা হয়। সম্প্রতি ১ টি প্রভাবশালী মহল দোহাজারী ব্রিজের পশ্চিম পাশে শঙ্খ নদী থেকে অবৈধভাবে দিন দুপুরে বালি উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বসানো ব্লক নদীতে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোহাজারী ব্রিজের পশ্চিম পাশে শঙ্খ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ১ টি প্রভাবশালী মহল দিন দুপুরে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে শঙ্খ নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে বসানো ব্লক চাগাচর এলাকায় নদীতে পড়তে শুরু করেছে। একইভাবে সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের উত্তর কালিয়াইশ অংশে বসানো ব্লকে ফাটল ধরেছে। এ সব দৃশ্য দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এ বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে শঙ্খের ভাঙ্গন প্রতিরোধে বসানো ব্লক ভেস্তে যাবে। স্থানীয়রা জানান, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ চালাতে এ বালি উত্তোলন করে রেলওয়ের ঠিকাদারের নিকট সরবরাহ করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। ফলে শঙ্খ নদীতে জেগে উঠা চর কেটে নদীর পাশে আরেকটি খালের দৃশ্য খালি চোখে দেখা যাচ্ছে। ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি শঙ্খের ভাঙ্গন প্রতিরোধে বসানো বøক প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। শঙ্খ নদীর তীরবর্তী চাগাচরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন শঙ্খনদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকার যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তা অসাধু মাটি ব্যবসায়ীদের কারণে পুনরায় আগামী বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গনের কবলে পড়বে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এব্যাপারে এলাকাবাসী ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিতভাবে শঙ্খনদী থেকে মাটি সরবরাহ বন্ধের জন্য অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়। এ প্রভাবশালী মহলটি সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় থেকে শঙ্খনদীর অভ্যন্তরে দিন-দুপুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দোহাজারী সদর, উত্তর কালিয়াইশ, বাজালিয়া, ধর্মপুর, নলুয়া, আমিলাইশসহ বেশকিছু এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। জরুরিভাবে শঙ্খনদীতে থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সৃদৃষ্টি কামনার পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।