অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

26

কক্সবাজারের রামুর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী স্টেশনের দু’পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ঝুঁপড়ি ঘর। নগরীর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এভারেস্ট টিচিং ইনস্টিটিউট পর্যন্ত অসংখ্য ময়লার স্তূপের কারণে নাকে রুমাল চেপে চলাফেরা করতে হয় পথচারীদের। সব মিলে এ এলাকার অসহনীয় যানজট ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয়রা। অবশেষে এ দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নিয়েছে রামু উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল সোমবার দুপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ময়লার স্তূপ সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা অভিযানে চৌমুহনী ও আশপাশের প্রায় অসংখ্য ঝুঁপড়ি ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া, ভবিষ্যতে এসব জায়গায় ফের স্থাপনা না বসাতে সবাইকে সর্তক করা হয়। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের
এদিকে, এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে রামুর সচেতন মহল। প্রজন্ম ৯৫ বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুস সাত্তার বলেন, সরকার আসে-যায়, কিন্তু রামু-চৌমুহনীর এ দুরাবস্থা থেকে মুক্তি মেলে না। বিভিন্ন সময় রামু-চৌমুহনীকে যানজটমুক্তকরণ ও এর সৌন্দর্য ফেরাতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা স্থায়ী রূপ পায়নি। উচ্ছেদের পরপরই সব আবার বেদখলে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের নতুন এ উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে রামুবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, রামুর প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী। কিন্তু, এর দু’পাশ দখল করে অসংখ্য ঝুঁপড়ি ঘর তৈরির করায়, এ এলাকায় সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতাসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া, যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার কারণে অপরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে এটি। এসব বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আপাতত সড়কের দু’পাশের সব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, ময়লাগুলো সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে ময়লা কোথায় ফেলা যাবে, সে ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে রামুকে ঢেলে সাজানো হবে।