অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো খুলনা

28

টানা তিন হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো খুলনা টাইটানস। গতকাল সিলেট সিক্সার্সকে ২১ রানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহরা। সব মিলিয়ে চলতি বিপিএলে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল খুলনা। তাতে অবশ্য অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের শেষ চারে থাকার সম্ভাবনা সামান্যই।
গত কয়েক ম্যাচ ধরে ব্যাটিংয়ে দারুণ পারফর্ম করেছে খুলনা। কিন্তু বোলিং ও ফিল্ডিং ঠিকঠাক না হওয়ায় হার নিয়ে ছাড়তে হয়েছে মাঠ। সিলেটের বিপক্ষে ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভেঙে জয়ে ফিরেছে খুলনা। প্রথমে ব্যাট করে খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ১৭০ রান। জবাবে সিলেট ৭ উইকেটে করতে পারে ১৪৯ রান।
মোহাম্মদ নওয়াজ ৩৪ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও জেতাতে পারেননি সিলেটকে। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে খুলনার অন্য বোলাররা জ্বলে উঠলে সুবিধা করতে পারেননি সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। তাইজুলের শিকার ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জুনায়েদ খান, শুভাশীষ রায়, ডেভিড উইজ ও ইয়াসির শাহ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের লিটন দাস শূন্য রানে আউট হওয়ার পর সাব্বির আউট হন ১৩ রানে। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। চারে নামা অলক কাপালি করেন ১১ রান। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে সিলেট লাইনচ্যুত হলেও তাদের পথে ফেরান নওয়াজ ও নিকোলাস পুরান। তাদের ব্যাটে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল সিলেট। যদিও পুরান ২১ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। খানিক পর নওয়াজ ৩৪ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলে জয়ের সুবাস পেতে থাকে খুলনা। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে তিন ম্যাচ পর জয়ের পথে ফেরে খুলনা।
তাদের শেষ চারে থাকার সম্ভাবনা একরকম শেষ হয়ে গেলেও পয়েন্ট টেবিলের হিসাব বলছে, নিজেদের সব ম্যাচ খুলনা জিতলে ও অন্য দলগুলো সব ম্যাচ হারলে এবং নেট রানরেট বেশি থাকলে শেষ চারে দেখা যেতে পারে মাহমুদউল্লাহদের।এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার দুই ওপেনার ৪১ বলেই তুলে নেন ৭৩ রান। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফেরেন জুনায়েদ সিদ্দীকি। ৩১ বলে ব্রেন্ডন টেইলর করেন ৪৮ রান। তিন নম্বরে নামা আল আমিন (২) ফেরেন দ্রæতই। একটি করে চার আর ছক্কায় ১৩ বলে ১৭ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
দলপতি মাহমুদউল্লাহ (৩) আর আরিফুল হক (০) বিদায় নিলেও একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান ডেভিড উইসি। মাঝে ইয়াসির শাহ ৮ রান করে ফেরেন। শেষ ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে ডেভিড উইসি ২৫ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩৮ রান। তাইজুল ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিলেটের হয়ে অলোক কাপালি চারটি, পাকিস্তানি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ ও পেসার তাসকিন আহমেদ দুটি করে উইকেট তুলে নেন।