অবরুদ্ধ সড়ক জনদুর্ভোগ

21

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন হয় লালদিঘি মাঠে। দ্বিতীয় অধিবেশন হয় কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে। সম্মেলন ও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে এই দুই জায়গা একপ্রকার অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। সম্মেলনস্থলের আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সংঘাতের আশঙ্কায় আশপাশের এলাকার দোকানপাট-মার্কেট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এমন দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
গতকাল সকাল ১০টা থেকেই কোতোয়ালী, জেল রোড, লালদিঘির পাড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় সড়ক ব্যবহারকারীরা ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়েন। একইভাবে দুপুর আড়াইট থেকে কাজীর দেউড়ি মোড় হতে আলমাস সিনেমা মোড় পর্যন্ত সড়কটি বন্ধ করে দিলে দুর্ভোগ চূড়ান্তরূপ ধারণ করে। শুধু যান চলাচল নয়, এ সড়ক ব্যবহারকারী পথচারীদেরকে আটকে দেয় পুলিশ। এমনকি ভিআইপি টাওয়ারে বসবাস করা বাসিন্দাদেরকেও আটকে দেয়া হয়। অনেকেই বাসার বাইরে বের হলেও প্রবেশ করতে পারেননি। পুলিশের নির্দেশে বন্ধ করা হয় অ্যাপোলো শপিং সেন্টার এবং ভিআইপি টাওয়ার মার্কেট।
বিকাল ৪টার দিকে এক বৃদ্ধ দুই মহিলাসহ ভিআইপি টাওয়ারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ আটকে দেয়। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ওই বৃদ্ধ। জরুরি প্রয়োজনে বাসায় যাওয়ার কথা বললেও ওই বৃদ্ধের আকুতি কানে নেয়নি পুলিশ। পরে সাথে থাকা দুই মহিলাসহ উপস্থিত জনগণ প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাদের প্রবেশ করতে দেয়। একই সময়ে পরিবারসহ বাসায় ফিরছিলেন ভিআইপি টাওয়ারের বাসিন্দা কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের অনুরোধে তাঁকে বাসায় যেতে অনুমতি দেয় পুলিশ। পুলিশের বেষ্টনির দুই পাশে সম্মেলনে প্রার্থী হওয়া নেতার অনুসারীদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, সম্মেলনে সংঘাত ঠেকাতে প্রায় ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০০ পুলিশকে শুধুমাত্র কাউন্সিলস্থলেই রাখা হয়েছে।
কাজীর দেউড়িতে আটকা পড়া পথচারী সোহানুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় যেতে অপেক্ষা করছিলাম। পুলিশ বেষ্টনিতে আটকা পড়েছি। অনুরোধ করলেও যেতে দিচ্ছে না। যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এভাবে মানুষ চলাচলও বন্ধ করা উচিত হয়নি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে।’