অফিস সহায়ক জয়নালসহ তিন আসামি রিমান্ডে

30

জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় নির্বাচন কমিশনের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদিনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া আক্তারকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়ার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রত্যেক আসামির সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। শুনানিতে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করে তার বক্তব্য নেন। আদালতের বিচারক ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদিনের ৩ দিন এবং বিজয় দাশ ও সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া আক্তারকে এক দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপও।
ওইদিন রাতেই কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেন। বাকি দুই আসামি হলেন- সাগর ও সত্যসুন্দর দে।