অপরিকল্পিত ভবন আর নির্মিত হবে না : পূর্তমন্ত্রী

30

অতীতে যাই হোক, এখন থেকে অপরিকল্পিতভাবে আর কোনো ভবন নির্মিত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় আসা গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ভূমিকম্প বিষয়ে রাজউকের ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প’ নিয়ে গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পর্যালাচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
পুরান ঢাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ভবনগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে, যেসকল ইমারত বসবাসের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বেশকিছু কাজ এগিয়েছে। আমরা এটা সম্পন্ন করার পরে যে কোনোভাবেই হোক না কেন, কোনো রকমের বাধা এই ক্ষেত্রে মেনে নেব না। আমরা মানুষের নিরাপত্তা, জীবনের নিরাপত্তা, নগরীর পরিবেশ এবং পরিকল্পিত নগরী রক্ষার জন্য এসব ভবন ভেঙে ফেলার জন্য তাদেরকে তাগিদ দেব। তারা যদি ভাঙতে না চান আমরা নিজ উদ্যোগে
আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব’।
মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে কি হয়েছে জানি না, এখন থেকে অপরিকল্পিত কোনো দালান নির্মিত হবে না। যে দালান বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে সেক্ষেত্রে আইন তার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’। দেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা জানতে এক মাসের মধ্যে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, ‘ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছি- যেটা কোনোভাবেই বসবাস যোগ্য না বা রক্ষা যোগ্য না বা অপরিকল্পিতভাবে হয়েছে, সেগুলোকে আমরা নির্ধারণ করে মফস্বল এবং ঢাকায় সর্বত্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইতোমধ্যে এই জাতীয় দালানগুলোকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আত্মবিশ্বাস রাখেন, আমি তো তিন-চারদিন আসলাম মন্ত্রণালয়ে, আমাকে একটু সময় দেন, ইনশাল্লাহ একটা রেডিকেল চেঞ্জ দেখতে পারবেন’। খবর বিডিনিউজের
বসবাসের অনুপযোগী ইমরাতের মালিকদের দেওয়া নোটিসে অস্পষ্টতা থাকায় অনেকেই অঅইনের আশ্রয় নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক জায়গায় বসবাস অনুপোযোগী ইমারত আছে, সেগুলোকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে নোটিসটা যেভাবে হওয়া উচিত সুনির্দিষ্টভাবে, এই সুনির্দিষ্টতায় কিছু অস্পষ্টতা থাকায় অনেকে আদালতের আশ্রয় নিয়েছে। ফলে বেশকিছু মামলায় স্থগিতাদেশ বা ইনজাংশন রয়েছে’।
এ ধরনের প্রায় আট হাজার মামমলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলাগুলো কিভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে আমরা রাজউকে বসেছি। পেশায় আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আইন ভঙ্গ করে কিছু করতে চাই না। তবে আইনের ঠুনকো অজুহাতে আবার সকল উন্নয়ন কাজ অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আটকে রাখা, সেটাও নিশ্চয়ই হবে না। আমরা আরও বেশি লিগ্যাল এক্সপার্টকে এসব মামলায় এনগেজ করব’। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমাকে সাহায্য করুন, দেখুন অ্যাকশন হয় কী না। আমাকে সময় দিন, অবশ্যই পরিবর্তন হবে’।
সভায় মন্ত্রণালয়, রাজউক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।