অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা

45

ভারতে ভিন্ন বর্ণের ছেলেকে বিয়ে করায় মেয়েকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে তার পরিবার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রুক্সিনি নামের ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। তার স্বামী মঙ্গেশও দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
মহারাষ্ট্রের আহমদনগর শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে পারনার থানার অন্তর্গত নিঘোজ গ্রামে এ ঘটনা সংঘটিত হয়। এরইমধ্যে পুলিশ ওই তরুণীর দুই কাকা সুরেন্দ্র ভারতি ও ঘনশ্যাম ভারতিকে গ্রেফতার করেছে। তার বাবা রাম ভারতি এখনও পলাতক। রুক্সিনি রানসিংহ ও মঙ্গেশ রানসিংহ পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ‘নিম্নবর্ণ’র ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি পরিবার। গত ৩০ এপ্রিল রাতে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে রুক্সিনি ও মঙ্গেশের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরপর রাগ করে বাপের বাড়ি চলে আসেন রুক্সিনি। দু’দিন পর রাগ ভেঙে যাওয়ায় মঙ্গেশকে বাপের বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে যেতে বলেন তিনি। গত রবিবার স্ত্রীকে আনতে তার বাড়ি নিঘোজ গ্রামে যায় মঙ্গেশ। সেখানে যাওয়ার পর রুক্সিনির পরিবারের সদস্যরা তাকে মঙ্গেশের সঙ্গে যেতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। শুরু হয় উত্তপ্ত বাদানুবাদ। সে সময় রুক্সিনির দুই কাকা তাদেরকে একটি কক্ষের ভেতরে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আর রুক্সিনির বাবা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। দগ্ধ অবস্থায় ওই যুগলকে নিয়ে যাওয়া হয় পুনের স্যাসুন জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে রবিবার রাতেই মারা যান রুক্সিনি। তার দেহের ৭০ শতাংশই পড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি দু’মাসের গর্ভবতী ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে দেহের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ পড়ে গিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মঙ্গেশ।