অনেক গুণের পাকা আম

116

আমকে বলা হয় ফলের রাজা। গ্রীষ্মের এই সময়ে রসালো আম থাকে বাজারজুড়ে। ভিটামিন এ, বি, সি, ই সমৃদ্ধ পাকা আম শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। ২০ ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে এই ফলে। জেনে নিন পাকা আমের উপকারিতা সম্পর্কে।
মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে :
আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে আম খুব ভালো ভূমিকা রাখে। এই ফলের গ্লূটামিক অ্যাসিড মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উজ্জীবিত করে মনোযোগ বাড়িয়ে দেয়। তাই পরীক্ষার সময় ও মস্তিষ্কের চাপ যখন বেশি থাকে, তখন আম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
হৃদরোগ ও আলঝেইমার প্রতিরোধ করে :
আমে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা ভিটামিন এ এর উৎস। আর তাই এই ফল হৃদরোগ, ভুলে যাওয়া রোগ আলঝেইমার এবং পার্কিনসন্স ও আথ্রাইটিস প্রতিরোধ করে।
মিনারেলের ঘাটতি মেটায় :
আমে প্রচুর পটাশিয়াম তাকে, তাই শারীরিক প্রশিক্ষণের পর শরীরে পটাশিয়াম ঘাটতি কমাতে আম বেশ উপকারী। এছাড়া প্রতিদিন দৌড়ঝাঁপে আমাদের শরীর থেকে যে লবণ বের হয়ে যায়, তার ঘাটতিও পূরণ করে আম।
ঠান্ডা ও ফ্লু দূর করে :
অনেকেই আছেন ঠান্ডা বা ফ্লু দূর করতে যে প্রচুর ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তা গ্রহণ করতে পারেন না। এ অবস্থায় আম খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। আমে ভিটামিন এ এবং ডি আছে প্রচুর পরিমাণে। তাই ঠান্ডা ও ফ্লু দূর করতে সক্ষম এটি।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে :
আমে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে বলে এই ফল দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
গর্ভবতীদের জন্য উপকারী :
আমে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা গর্ভবতীদের জন্য ও গর্ভে থাকা শিশুর জন্য বেশ উপকারী।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে :
আমে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই শরীরে ফ্রি র‌্যাডিকেল বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানকে প্রতিরোধ করে।
হজমে সহায়ক :
আমে প্রচুর আঁশ থাকে, তাই আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এই ফল। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য আম বেশ উপকারী।
সাবধানতা :
* আম অনেকের দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।
* বেশি আম খেলে এটি ওজনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
* যেহেতু আমে প্রচুর সুগার থাকে, তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের আম খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।