অনুপম সেন : অনন্য আলোকরেখা

64

প্রফেসর অনুপম সেনের পরিচয় শুধু সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে নয় বরং অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ সংস্কৃতি ছাড়াও দর্শন ও ইতিহাসে সুপন্ডিত এই প্রাজ্ঞজনের খ্যাতি আন্তর্জাতিক বলয়েও সম্প্রসারিত। বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চায় সমর্পিত ড. অনুপম সেনের জীবন কেটেছে অগণিত ছাত্রছাত্রীর আলোকিত জগৎ তৈরি করার মহান ব্রতে। ব্যক্তি জীবনে তিনি আত্মভোলা, অর্থ-বিত্তের প্রতি নিরাসক্ত, নির্মোহ কিন্তু শক্ত মনোবৃত্তির এক আদর্শায়িত বোধে উদ্দীপ্ত মানবিক মানুষ। নামে যিনি অনুপম, সৃজন ও মনন শৌর্যে যাঁর অভাবনীয় সম্ভার তিনি শুধু জ্ঞানাচার্যের আলয়েই সীমাবদ্ধ নন তার চেয়েও বেশি মানবিক মূল্যবোধেরও এক অনন্য নজির। স্যারের (আমি তাঁর সরাসরি ছাত্রী) জ্ঞান তপস্যার সঙ্গে মিলেমিশে একাত্ম হয়ে যায় মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, দেশের জন্য অবিচল দায়বদ্ধতা এবং মাতৃভাষার প্রতি অনমনীয় বোধ। এই জীবন্ত কিংবদন্তির ৮০ বছর পূর্ণ হওয়ার সুবর্ণ সময়ে তাঁকে নিয়ে লিখেছেন দেশের জ্ঞানী, গুণী ব্যক্তিত্ব এবং একান্ত সুহৃদরা, ‘তৃতীয় চোখ’ প্রকাশ করেছে ‘অনুপম সেন : অনন্য আলোকরেখা’। স্যারের নিরবচ্ছিন্ন জ্ঞান সাধনায় দেশ ও জাতির দুঃসহ যাত্রাপথও হরেক রকম পরামর্শে উত্তরণের পথরেখা নির্দেশিত হয়েছে। নিরন্তর চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করেছেন সঙ্কটময় বিপন্ন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার অনন্য দিকনির্দেশনায়। সঙ্গত কারণে সংগ্রামী, ঐতিহ্যিক আন্দোলনে লড়াকু চেতনায় সার্বক্ষণিক নিজেকে শাণিত করতে কিছুমাত্র ভাবতেও হয়নি।
জাতির বিভিন্ন দুর্যোগের সময়ের অনিবার্য প্রয়োজন মেটাতে ঠান্ডা মাথায় দাঁড়িয়েছেন একেবারে সামনের কাতারে। সদা হাস্যময় এই বিদগ্ধ বিজ্ঞজন যে মাত্রায় সমস্ত সামাজিক অসঙ্গতিকে লেখনীয় মাধ্যমে ছিন্ন করার প্রয়াস পেয়েছেন তা পাঠক নন্দিত হতে সময় লাগেনি। সহজ ভাষায়, গভীর চেতনায় আর অসাধারণ বাগ্মিতায় ছাত্রছাত্রী, দর্শক শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবিষ্ট করে রাখতেন। নির্ভীক মনোশক্তিতে অকুতভয় এই জ্ঞানপিপাসু বোদ্ধা আজ অবধি কোনো অন্যায় আর অবিচারের সঙ্গে আপোস করেননি। শুধু দৃঢ় চিত্তই নয় এক অনাবিল ঠান্ডা জ্ঞানগর্ভ বাণীতে কত অসাম্য-বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াকু বাক্য বর্ষণ করেছেন তাও যেন এক শিল্প শৌর্যের অনন্য চর্চা। রবীন্দ্র ভক্ত ড. অনুপম সেন আবহমান বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতিরও একনিষ্ঠ ধারক। বাংলা ও বাঙালির যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বৈভবকে লালন করা এই যশস্বী সমাজ চিন্তক মাতৃভাষাকেও মর্যাদা দিয়েছেন সব কিছুর উপরে। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নই শুধু নয় শিক্ষকতা করার দুর্লভ সুযোগ অর্জনকারী এই কৃতী শিক্ষক নিজ গুণে আপন মহিমায় প্রতিনিয়তই পরিশীলিত হয়েছেন আধুনিক বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডারে নিঃশর্ত নিবেদনে। তেমন সফলতাও এসেছে উদ্দীপ্ত কর্মবহুল জীবনে নিরবচ্ছিন্ন ধারায়। স্যারের এমন সমৃদ্ধ জীবন ও কর্ম গাঁথায় রচিত হয়েছে আলোচিত মূল্যবান গ্রন্থটি। ঘুণে ধরা সমাজকে অভিশাপমুক্ত করতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন নির্দ্বিধায়, নির্বিঘ্নে। ৮০ বছরের এই বিরল পন্ডিত এখনও সমাজ সংস্কারের অন্তহীন পথযাত্রার সাহসী কান্ডারী।
বাংলাদেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. আনিসুজ্জামান, হাসান আজিজুল হক, ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ড. মনিরুজ্জামান, ড. হায়াৎ মামুদ, ড. আতিউর রহমান, ড. মাহবুবুল হক, আবুল মোমেন, ড. মহীবুল আজিজ, ড. প্রকৃতি চক্রবর্তী, সিদ্দিক আহমেদ, মোহাম্মদ রফিক, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, ড. মোহীত উল আলম, ড. মুনতাসীর মামুন, ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, ড. ভ‚ঁইয়া ইকবাল, ড. ওবায়দুল করিম, রীতা দত্ত, আবুল মনসুর, ফেরদৌস আরা আলীম, সুভাষ দে, ড. হরিশংকর জলদাস, জ্যোতির্ময় নন্দী, এজাজ ইউসুফী, ড. শিরীণ আখতার, ড. রাহমান নাসির উদ্দিন, ড. নেহাল করিম ড. আনোয়ারা আলম, ওমর কায়সার, হাফিজ রশিদ খান, কামরুল হাসান বাদল, জামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ শামসুল হক, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, কমলেশ দাশগুপ্ত, ড. আজাদ বুলবুল, নাজিমুদ্দীন শ্যামল, শৈবাল চৌধুরী, অজয় দাশগুপ্ত, মৃদুল চক্রবর্তী, বিশ্বজিত সেন, শিমুল বড়ুয়া, ইউসুফ মুহম্মদ, মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, শাকিল আহমদ, ড. উদিতি দাশ, ড. শ্যামল কান্তি দত্ত, ড. আহমেদ মাওলা, ড. জিনবোধি ভিক্ষু, ড. আনোয়ার সাঈদ, মোঃ মঈন উদ্দীন, ভাগ্যধন বড়ুয়া, মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ, রুহু রুহেল, শামসুল আরেফীন, মাছুম আহমেদ, সরওয়ার কামাল, দিলীপ কুমার বড়ুয়া, আবু সাঈদ, মনিরুল মনির, শাফিনূর শাফিন, মাধব দীপ, আজিজ কাজল, নাসির উদ্দিন হায়দার, ফারুক তাহের, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, শামসুদ্দীন শিশির, কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, শিব প্রসাদ, লায়ন রফিক আহমদ, মোঃ ইয়াছিন উদ্দিনসহ অনেকেই লিখেছেন এই আলোকিত মানুষটির জীবন ও মানবিক দর্শন নিয়ে। যেখানে জ্ঞান সাধনার অবিমিশ্র ধারাটি সব কিছুকে ছাপিয়ে যায়। স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থটির সার্বিক সম্পাদনায় ছিলেন কবি আলী প্রয়াস। তাঁর সঙ্গে স্যারের চমৎকার আলাপচারিতায় উঠে আসে সমাজ সংস্কারের প্রতি এক নিবেদিত শিক্ষকের সচেতন ও অকৃত্রিম দায়বদ্ধতা। এক সময়ের ছাত্র পরে নিকটতম সহকর্মী ড. ওবায়দুল করিমের সঙ্গেও খোলাখুলি নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন এই জননন্দিত শিক্ষক। দেশের মানুষের প্রতি এক অবিচল মমত্ববোধে তাদের জন্য বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন এখনও লালন করছেন এই কৃতী সমাজ তত্ত¡বিদ।
আধুনিক, ঐতিহ্যিক ও বনেদি পরিবারে জন্ম নেওয়া এই সাহসী শিক্ষাবিদ উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক গৌরব অর্জন করলেও আপন জ্ঞানের অভাবনীয় ভান্ডারে যে অনন্য উচ্চতায় তিনি অভিষিক্ত হন মূলত সেটাই এক দীপ্তিমান আলোক শিখা। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় কবির জীবদ্দশায় প্রথম খন্ডটি সমাপ্ত করে কবি গুরুকে পড়তে দেন এবং কিছু পর্যালোচনারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গ্রন্থটিতে লেখক কবির অসাধারণ গুণাবলী আর প্রতিভার সঙ্গে সমন্বিত করেন ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্যিক আবহকে।
এখানেই কবির আপত্তি ছিল। তিনি সংশোধনের পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন তাঁর সঙ্গে পূর্বপুরুষের দূরত্ব শুধু কালের দিক থেকেই নয় গুণের পরিমাপেও। কিন্তু প্রভাতকুমার নিজের লেখনীতে অটল এবং স্থির ছিলেন। কবির মতে মানুষ অসাধারণ হয় আপন ক্ষমতায় আর ব্যর্থতার দায়ও নিতে হয় নিজেকেই। স্যারের ক্ষেত্রেও আমি রবীন্দ্রনাথের মূল্যবান উক্তিটি তুলে ধরলাম তাঁর পরম শ্রদ্ধেয় পূর্বসূরিদের অম্লান ঐতিহ্যকে স্মরণ করেই। অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন অনন্য দীপ্তি বিচ্ছুরিত হওয়া সত্যিই এক মুগ্ধতার বিস্ময়। সুন্দর আর স্বল্প বাক্যে সাবলিলতায় যা বলতেন মনে হতো এক জ্ঞানবৃক্ষের ছায়াতলে যেন বিদ্যার্চনা করছি।
বৃহৎ কলেবরে লিখিত ৬৭২ পৃষ্ঠার ক্রাউন সাইজের অসামান্য এই সম্মাননা গ্রন্থটিতে নানাভাবে অনেকের লেখায় উঠে এসেছেন স্নেহময়ী মাতা স্নেহলতা সেন। মায়ের মমতায় সিক্ত এই পন্ডিত মাতৃবন্দনায়ও ছিলেন দ্বিধাহীন, অকুণ্ঠিত। মাতৃভক্ত স্যার মায়ের কাছ থেকে যে বিরল অভিব্যক্তি অর্জন করেন তার নিকটতম সান্নিধ্যে সেটাই সমৃদ্ধ জীবনের অবিস্মরণীয় অভিযোজন। এখানে আবারও কবিগুরুকে উদ্ধৃত করতে চাই। বিদ্যাসাগরের মাতা ভগবতী দেবী পুণ্যবতী এক শাস্ত্রিক মহিলা, ‘চারিত্র পূজা প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলেন- বিদ্যাসাগরকে কখনও মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়নি। কারণ মাতা ভগবতী নিজেই ছিলেন সাক্ষাত দেবী প্রতিমা। স্নেহলতা দেবীও শুধু প্রতিমা নন- বিদূষী, বিদ্যোৎসাহী এবং জ্ঞান সাধনায় এক অনন্য কৃতী ব্যক্তিত্ব, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম নারী শিক্ষার পাদপীঠ বেথুন কলেজের শিক্ষার্থী। যার মধ্য দিয়ে অবিভক্ত বাংলায় ভদ্র ঘরের মেয়েদের শিক্ষার দ্বার খুলে যায়। এমন অভাবনীয় গৌরব সে সময়ে হাতে গোনা কজন নারী অর্জন করতে পেরেছিলেন ভাবতেও বিস্মিত হতে হয়। শুধু শিক্ষার্জনের ক্ষেত্রেই নন আতিথেয়তায় তাঁর সুনাম উত্তরাধিকার সূত্রে স্যারও ধারণ করে চলেছেন। মিষ্টভাষী, সদালাপী স্যারকে কেউ কখনও উচ্চৈঃস্বরে কিংবা আপত্তিজনক বাক্য ব্যয় করতে দেখেননি। যদিও সমস্ত অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আপোসহীন এক লড়াকু ব্যক্তিত্ব।
স্যারের দীর্ঘদিনের সহকর্মী এবং সুহৃদ প্রফেসর হাসানুজ্জামান চৌধুরী বিভিন্নভাবে ড. অনুপম সেনের পান্ডিত্য, উদার মানবিকতা এবং অনন্য সমাজ নিরীক্ষকের আলোকবর্তিকা হিসেবে অভিষিক্ত করেছেন। কবি মোহাম্মদ রফিক স্যারের সঙ্গে তাঁর অকৃত্রিম হৃদ্যতাকে অনুভব-অনুভূতিতে প্রাঞ্জল করে তুলেছেন। সেখানে ব্যক্তিক সম্পর্ককে অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় কাল পর্বের দুঃসাহসিক অভিযাত্রাও বর্ণিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন স্যারের অসাধারণ পান্ডিত্যকে শ্রদ্ধাভরে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে ড. সেনের সামাজিক কর্মযোগকেও অন্যমাত্রায় আলোকপাত করেছেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান স্যারের থিসিস The state industrialisation and class formations in India-এর ওপর সারগর্ভ আলোচনায় অবিভক্ত ভারতে শ্রেণী কাঠামোর দৌর্বল্যে কেন পুঁজিবাদের ধ্রূপদী বিকাশ হয়নি তার একটি অসাধারণ বর্ণনা বিধৃত করেছেন। সেখানে কার্ল মার্কসকে উত্তরণ করে নয়া মার্কসবাদী দৃষ্টিকোণের ওপর স্যারের অনুপম ধারণাকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনায় এনেছেন। প্রয়াত ড. আনিসুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুবর্ণ সময়ে স্যারের সঙ্গে তাঁর প্রগাঢ় বন্ধুত্ব এবং সান্নিধ্যে আসার ব্যাপারটিকে সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন।
মূলত মূল্যবান গ্রন্থটি এক পন্ডিতের অনন্য আলোকরেখার ওপর সমপর্যায়ের বহু বিজ্ঞজনের অসামান্য লেখায় যে অনির্বাণ দ্যুতি বিচ্ছুরণ সেখানে সুখপাঠ্য প্রবন্ধ সংকলনটি কোন পর্যায়ে অনবদ্য হয়ে ওঠে সেটাও এক অবিমিশ্র আনন্দ।
সবচেয়ে ধন্যবাদের আসনে যাকে বসানো যায় তিনি গ্রন্থটির সম্পাদক আলী প্রয়াস। সীমাবদ্ধ ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি যুক্ত না করাই বোধহয় অপেক্ষাকৃত ভালো ছিল। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী করতে হয়। এমন একটি দামী বই প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁকে যে নিরলস কর্ম-সাধনা চালিয়ে যেতে হয় তার পরিমাপ কোনো কিছুর বিনিময়ে হয় না। আমরা স্যারের কাছের মানুষরা তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম। তবে আলী প্রয়াস বিনয়ের সঙ্গে বলতে কুণ্ঠিত হননি যে তিনি নিজের দায়বদ্ধতায় স্যারের সম্মাননা গ্রন্থ বের করতে একেবারে দ্বিধাহীন ছিলেন। দীপক দত্তের আকর্ষণীয় প্রচ্ছদে গ্রন্থটিতে নজর পড়লেই তৃপ্তিতে মনটা ভরে ওঠে। পাঠকপ্রিয়তা পেতে সেভাবে অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না। জনপ্রিয় এবং ছাত্র শিক্ষক নন্দিত ড. অনুপম সেন তাঁর অসাধারণ সৃজন ও মনন দক্ষতা এবং সংগ্রামী চেতনায় আরও বহুদূর এগিয়ে যাবেন তেমন কল্যাণ কামনায় আমরা কাছের মানুষরা।
ড. নাজনীন বেগম, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক।