পরম প্রেমময় ঠাকুর শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্রের ১৩৯তম আবির্ভাব বর্ষ স্মরণে ও চবি সৎসঙ্গের ৩০ বছর পূর্তি সম্মেলনে দু’দিনব্যাপী কমূসূচির আলোচনায় সভায় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, দেশে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক প্রথম সৎসঙ্গ চর্চার ইতিহাসের সাথে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। ঠাকুর শ্রীশ্রীঅনুক‚লচন্দ্রের নির্দেশিত আর্দশে সৎসঙ্গ চর্চার ভেতর দিয়ে শিক্ষায়তন হয়ে ওঠে সার্বজনীন জ্ঞান চর্চার আদর্শ কেন্দ্র। ৩০ বছর সেই সৎসঙ্গ কার্যক্রম সগৌরবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা মাথায় করে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার নজির আর কোথাও মিলে না। অনুক‚ল আদর্শে মানবকল্যাণই সৎসঙ্গের কর্মকৌশল। ভিসি সৎসঙ্গ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মসূচির প্রণোদনার ইচ্ছা পোষণ করে ক্যাম্পাস ভিত্তিক বছরব্যাপী যাজনের কার্যক্রম অব্যাহতি রাখার আহব্বান জানান। চবি-সৎসঙ্গের নির্বাহী প্রধান সুকান্ত দত্ত এর সঞ্চালনায় ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার নগরীর ঐতিহাসিক জেমসেন হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চবি সৎসঙ্গের সভাপতি সজীব দাশ। সভায় উদ্বোধক ছিলেন সহ-প্রতিমত্বিক সুনীল বিকাশ দাশ। প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্ত্তী। আমন্ত্রিত ঋত্বিক মন্ডলীর মধ্যে ছিলেন-অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ, সাহিত্যিক পিযুষ কান্তি ঘোষ, মাদল দেব বর্মন। সম্মানিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, ভাস্কর ডি.কে দাশ মামুন, শুভাশীষ দাশ প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক পলাশ দাশ, সহ-সম্পাদক তুষার মিত্র। সকাল থেকে আরো অনুষ্ঠায় পরিক্রমায় ছিল বিশ্ব কল্যাণ কামনায়-সমাবেত বিনতি প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, জন্মলগ্নের স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক পরিযোগিতা, প্রসাদ বিতরণ। উজ্জ্বলচন্দ্র দেবনাথের পরিচালনায় চবি সৎসঙ্গের সদস্যদের অভিনয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবনভিত্তিক সংক্ষিপ্ত নাটক- ‘পরম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুুক‚লচন্দ্র’। বিজ্ঞপ্তি