অনিয়ম প্রমাণ হলে ইসির কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

45

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, রোহিঙ্গারা যাতে কোনভাবে ভোটার তালিকায় আসতে না পারে, সেজন্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে নির্ভুল ভোটার তালিকা উপহার দিয়েছি। নির্বাচন কর্মকর্তারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কোন নির্বাচন কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় আনবেনা। জন্ম নিবন্ধনসহ অনেক কিছু দেখে ভোটার করা হয়। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার সেই সুযোগ নেই।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রামের সকল থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোটার হতে বা জাতীয় পরিচয় পেতে নির্ধারিত কিছু কাগজপত্রের পাশাপাশি পার্সোনাল হেয়ারিং করার বিষয়েও সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কমিটি। কেননা, অনেক সময় কাগজপত্র দিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত হয়না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কর্মকর্তারা যদি সরাসরি কথা বলতে পারে, তাহলে রোহিঙ্গাদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গারা যাতে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে যেই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদের বায়োমেট্রিক নেওয়া আছে। পাসপোর্ট অফিস এসব বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করেছে। এসব বায়োমেট্রিকের কপি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আনা হয়েছে।
কবিতা খানম বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশনেও বায়োমেট্রিক নিচ্ছি। ভোটার তালিকা করার আগে বায়োমেট্রিক সার্ভারে আসবেনা। সার্ভার সেভাবে তৈরি করা আছে। ক্রস চেক করা হবে। নির্বাচন কমিশনের বায়োমেট্রিকের সাথে যদি রোহিঙ্গা বায়োমেট্রিক মিলে যায় তাহলে রোহিঙ্গারা শনাক্ত হয়ে যাবে। এর আগে যে রোহিঙ্গারা ভোটার হয়েছিল, তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে।
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকলে, এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের তদন্তে ৪৬জন রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছে। এক্ষেত্রে যদি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি বাইরের কেউ সিন্ডিকেট করে তাদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারী আইনে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন