অনিয়মের তদন্তে গণপূর্ত ও সিডিএ

62

চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স বিপণি কেন্দ্রের ভেতরে আলো বাতাস চলাচলের জন্য রাখা স্থান, পার্কিংয়ের জায়গা, উন্মুক্ত স্থান এবং আগের দ্বিতল ভবনের তৃতীয় তলায় ‘সৌন্দর্য বর্ধন ও আধুনিকায়নে’ অনিয়ম তদন্তে নামছে এবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর কর্মকর্তারা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আগামী ২০ জানুয়ারি শপিং কমপ্লেক্সে যাচ্ছেন তারা। গত ১২ জানুয়ারি গণপূর্ত বিভাগ-১ এর পক্ষ থেকে সিডিএতে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনার তথ্য উঠে আসে।
এদিকে খালি জায়গায় স্টিলের পাত দিয়ে নির্মিতব্য চার তলা সমান অবকাঠামোর মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত কাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। আর মূল ভবনের তৃতীয় তলায়ও স¤প্রসারিত অংশের নির্মাণ কাজ হয়। বর্ধিত ভবন ও অংশে আরো ৩৫০টি দোকান নির্মিত হবে।
চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের পার্কিংয়ের জায়গাসহ আলো-বাতাস চলাচলের জন্য রাখা খোলা স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে দোকান। দোকান নির্মাণের নামে এমন অরাজকতায় শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দোকান নির্মাণের কাজটি দিয়েছিলেন শামীম করপোরেশনকে।
নগরীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ষোলশহরে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দায়িত্বকালের প্রথমদিকে নির্মিত চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের রূপ পরিবর্তন করে বর্তমানে সেখানে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গায় দোকান নির্মিত হচ্ছে। শপিং কমপ্লেক্সের ভেতরে আলো-বাতাস চলাচলের জন্য রাখা খোলা স্থানে নির্মাণ হচ্ছে এসব দোকান। শুধু তাই নয়, কমপ্লেক্সের সামনে ও পেছনে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রাখা স্থানেও নির্মিত হচ্ছে দোকান। নিচে মহিলা শৌচাগার ও জেনারেটর রুম ভেঙে দোকানগুলো তৈরি হচ্ছিল। অথচ শৌচাগার, জেনারেটর রুম ও পার্কিংয়ের স্থানে দোকান করার কোনো অনুমোদনও নেই। এদিকে শপিং কমপ্লেক্সের ছাদের ওপরে আরো এক তলা নির্মাণ করা হচ্ছিল লোহার ফ্রেম ও অ্যাঙ্গেল বসিয়ে।
গত জুন মাসে ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ না করার জন্য মানববন্ধনও করে। চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সে বর্তমানে ৩৮০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদে ২০১৮ সালে চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের ৩৫ হাজার বর্গফুট ‘খালি জায়গা’ বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয় চসিক।
এদিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে গঠিত একটি তদন্ত কমিটিও এক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়গুলো উল্লেখ করেছিল। গত ১৫ অক্টোবর এনিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদনও দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ সিডিএ’র কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাদের কাছ থেকে একজন প্রতিনিধি চান। শপিং কমপ্লেক্স সরেজমিনে পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার অংশ হিসেবেই সিডিএ’র প্রতিনিধি চাওয়া হয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, শপিং কমপ্লেক্স এর বিষয়ে পরিদর্শনপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার অংশ হিসেবে সিডিএ’র একজন প্রতিনিধি সেখানে যাবে।