অনলাইনে আরএস খতিয়ানে কমবে ভোগান্তি : ভূমিমন্ত্রী

119

অনলাইনে আর এস খতিয়ান প্রাপ্তির ফলে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এতে সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মামলার ভোগান্তি এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে। এছাড়া নাগরিকের সময়, খরচ এবং যাতায়াত কমে যাবে। সর্বোপরি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। সেবাগ্রহীতারা খুব সহজেই এখন নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে আর এস খতিয়ান পেতে পারেন।
‘হাতের মুঠোয় খতিয়ান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত দেশব্যাপী আর এস খতিয়ান অনলাইনে অবমুক্তকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করার সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
‘আর এস খতিয়ান’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (িি.িষধহফ.মড়া.নফ) একটি অংশ। এছাড়া মোবাইল অ্যাপ, ‘ৎংশ.ষধহফ.মড়া.নফ’ এবং ‘ফৎৎড়ভভরপব.ষধহফ.মড়া.নফ’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক ঘরে বসে অথবা নিকটস্থ যেকোনো ডিজিটাল সেন্টারে অথবা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজের জমি সংক্রান্ত তথ্য দেখার সুযোগ পাবেন।
‘অনলাইনে আর এস খতিয়ান’ সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিশেষ উদ্যোগের অধীন বাস্তবায়িত হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ৩২ হাজার জরিপকৃত মৌজার ১ কোটি ৪৬ লক্ষ আর এস খতিয়ানের জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বাকীগুলোও পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্থে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনের জন্য হটলাইন, সরকারের সাথে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য একটি পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপন, অনাবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু এবং ল্যান্ড ব্যাংক করার বিষয়গুলোও প্রক্রিয়াধীন। এগুলো মূলত পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ইন্টিগ্রেটেড অটোমেশনের ভেতর নেওয়ার পর্যায়ক্রমিক ধাপ। খুব শীঘ্রই সমগ্র বাংলাদেশকে ই-মিউটেশনের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, “দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো। ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন যেন টেকসই হয় সেজন্যে আমরা বদ্ধপরিকর”।
মন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরগুলোতে কর্মরত গণকর্মচারীরা সম্পত্তির হিসেব জমা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনে কর্মরতরা নিজ নিজ কালেক্টরেট অফিসে সম্পদের হিসেব দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা তা জানবেন”।
মন্ত্রী বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয় এখন আগের মত অবস্থানে নেই। এখন কর্মচারীরা অনেক ভালোভাবে কাজ করছে। উপরের দিকে দুর্নীতি কমে এসেছে। উপরের দিকে দুর্নীতি কমে আসলে নিচের দিকেও দুর্নীতি কমে আসবে”।