অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন

27

রাউজানে সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরোধের জের ধরে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে উপজেলার অন্যতম দ্বীনিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান উরকিরচর মোহাম্মদীয়া গাউসিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা এতিমখান ও হেফজখানা। এনিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি এসএম ইউসুফ। অন্যদিকে মাদ্রাসার সভাপতি এসএম ইউসুফের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মাদ্রাসাস্থ এতিমখানার সাবেক সদস্য আনোয়ার আজম। এতে এতিমখানার প্রাক্তন সদস্য আনোয়ার আজম মাদ্রাসা সম্পর্কে তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদ্রাসা কমিটিতে অযোগ্য ব্যক্তি সভাপতি হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগলে তৎকালীন সময়ে বর্তমান গণপূর্ত মন্ত্রী এডভোকেট রেজাউল করিমের মাধ্যমে একটি রীট আবেদন করি। তৎসময়ে কমিটির সভাপতি হতে উঠে পরে লেগেছেন এলাকার এসএম ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি। পরে এলাকার লোকজনের অনুরোধে আমি রীটটা প্রত্যাহার করি। এতে কমিটিতে অনেকের অজান্তে নাম দিয়ে ভূয়া স্বাক্ষর করে কমিটি বেক ডেটদিয়ে অনুমোদন করিয়ে নেন এসএম ইউসুফ। কিন্তু কথা ছিল, মাদ্রাসাকে বেশ উন্নয়ন করবে। কিন্তু তিনি তা না করে মাদ্রাসাকে ধ্বংসের দিকে টেলে দিচ্ছে। অতচ তিনি এলাকায় সমাজ সেবক নামে অনেকের কাছে পরিচিত। কিন্তু মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেন তিনি কত বড় সমাজ সেবক। মাদ্রাসার জন্য তিনি কি উন্নয়ন করেছে। তিনি তা না করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানান হয়রানি মূলক অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। এতে নানান বিষয়ে অভিযোগ করলেও দুদকের অভিযোগ খারিজ করে দেন। এর মধ্য একটি অভিযোগ ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ এনে দুদকে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। যেটি কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। এসব বিষয়ে আমরাও সকল কাগজ পত্র দিয়েছি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার সভাপতি এসএম ইউসুফ, ২২ বছর ধরে সভাপতি। কিন্তু হটাৎ করে, তিনি মাদ্রাসার আলমিরা ভেঙ্গে বেশ কিছু ডকুমেন্টও তিনি নিয়ে যান। এটিই প্রমান কনে তিনি কোন অসৎ উদ্যোশে এটি করেছে। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাছান রেজাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি বলেন, আমি বিদেশ থেকে অনেক টাকা মাদ্রাসার জন্য কমিশন ছাড়া দিয়ে থাকি। বিগত সময়ে এক কোটি টাকা দিলেও তার কোন কমিশন আমি পায়নি। কিন্তু তারা এসব নিয়ে ব্যবসা করছে বলেও অভিযোগ করেন।