অতিমানবীয় ডি গিয়ায় স্পার্সকে হারাল ম্যানইউ

25

ওলে সুলশায়ার যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন তখন আর্সেনালের থেকে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল ইউনাইটেড । সেই সুলশায়ারের হাত ধরেই যেন হঠাৎ করেই অন্য এক ইউনাইটেডে পরিণত হয়েছে তারা। টানা ৬ ম্যাচ জয়ের পথে শক্তিশালী স্পার্সকে তাদের মাটিতেই ০-১ ব্যবধানে হারালো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জয়সূচক গোলটা রাশফোর্ড করলেও মূলত ইউনাইটেডের জয়ের নায়ক তাদের স্প্যানিশ গোলরক্ষক ডেভিড ডে গিয়া। আর্সেনালের সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে ইউনাইটেড। ডে গিয়াই ছিলেন ম্যাচের নির্ধারক। হ্যারি কেইন, দেলে আলী, সনদের মুহুর্মুহু আক্রমণ একাই রুখে দেন তিনি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ইউনাইটেড। ১৮ মিনিটে মার্শিয়ালের শট রুখে দেন স্পার্স গোলরক্ষক লরিস।
প্রথমার্ধের একদম শেষ মিনিটে রাশফোর্ড চমকে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। পগবার কাছ থেকে বাড়ানো বলে গোল করে ইউনাইটেডকে বিরতির আগেই ০-১ ব্যবধানে এগিয় দেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। বিরতির পর যেন বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হয় স্পার্স। ৪৭, ৪৯ ও ৫১ মিনিটে হ্যারি কেইন, দেলে আলিদের তিনটি আক্রমণ একাই নস্যাৎ করে দেন ডে গিয়া। দ্বিতীয়ার্ধসহ পুরো ম্যাচে কেইনদের ১১টি শট রুখে ইউনাইটেডকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ভেতর তিনিই একমাত্র গোলরক্ষক যিনি এতগুলো সেভ করেও একটি গোলও হজম করেননি। ডে গিয়ার মতই রেকর্ড গড়েছেন তাদের নতুন কোচ সুলশায়ারও। প্রথম ইউনাইটেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ছয় ম্যাচেই জয় পেলেন তিনি।