অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছি বললেন ইসি মাহবুব তালুকদার

52

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের নির্বাচনের কোনও ধারাবাহিকতা নেই, কিংবা ছিল না। আমরা কখনও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। কখনও সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। কখনও নির্বাচন করেছি দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু তা অংশীদারমূলক হয়নি। এই প্রথম একটি অংশীদারমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে পেরেছি। এই নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করবে। এই নির্বাচনের পথ ধরে পরবর্তী নির্বাচনের ধারা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।’
নির্বাচন অনুষ্ঠানকে বিশাল কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন যে এত বড় কর্মযজ্ঞ, সেই বিষয়ে সত্যিই আমার কোনও ধারণা ছিল না। কারণ, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করার কোনও সুযোগ বা নির্বাচন সচিবালয়ে কাজ করার সুযোগ আমার জীবনে হয়নি। এখানে এসে বিশাল কর্মকাÐ দেখে আমার জীবনে বিশাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই বিশাল কর্মযজ্ঞের কেন্দ্রবিন্দু নির্বাচন কমিশনের সচিব মহোদয় ও তার নির্বাচন সৈনিকেরা। তারা যে কী নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই নির্বাচনকে সফল করেছে, এটি অভিজ্ঞার সঞ্চার হয়ে থাকবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং যোদ্ধার মতো তিনি এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
বর্তমান কমিশনে কাজ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান ব্যক্তি। কারণ, সরকারি চাকরি করার সময় আমার বঙ্গভবনে ৫ বছর কাজ করার সুযোগ হয়েছে। চারজন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার সরাসরি কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। আর জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে, সম্ভবত ৫ বছরব্যাপী। সে জন্য জীবনের প্রথম পর্যায়ে আমলা হিসেবে ৫ বছর এবং শেষ সময়ের এই ৫ বছর আমার জীবনে গৌরবগাথা হয়ে থাকবে।’
সিইসি ও অন্যান্য কমিশনারের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্ক বজায় থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কমিশনার, যাদের সঙ্গে আমার প্রতিদিনই দেখা হয়। আল্লাহর অপরিসীম অনুগ্রহ যে, তাদের সঙ্গে দুই বছরের কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করেছি এবং আরও তিন বছর অতিবাহিত করতে পারবো বলে আশা করি। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক যে এত নিবিড়, যা কখনও হয়নি, হওয়া সম্ভবও নয়। তাদের সঙ্গে অত্যন্ত আপনজনের মতো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমার একটা মধুর সম্পর্ক রয়েছে। যেটার জন্য আমি আনন্দিত ও গর্বিত।’